‘বিজিবি কখনো গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারে না’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, দেশের মানুষের ওপর বিজিবির গুলি চালানোর ঘোষণা গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের কাজ অপরাধীদের আটক করে শাস্তির আওতায় আনা। গুলি চালানোর নির্দেশ বিজিবি কখনোই দিতে পারে না।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সেন্টার ফর ন্যাশনালিজম স্টাডিজ আয়োজিত ‘ইমপিডিমেন্টস ইন নেশন বিল্ডিং অ্যান্ড দ্যা ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন বিভক্ত জাতিতে পরিণত হয়েছে। দেশে চলছে বিষাক্ত রাজনীতির চর্চা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ না করে তারা নিজেরাই গুম-খুন ও সন্ত্রাসের মতো জঘন্য কাজ করছে। বিচারের পরে মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে বাধ্য।’

তিনি আরো বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব সমস্যার সমাধান করা, সমস্যার সৃষ্টি করা নয়। আমরা দেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতি চাই। যা ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আর দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরে আনতে হলে অবশ্যই বিরোধীদল ও সরকারকে একসঙ্গে বসে সংলাপ করতে হবে এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই এ রাজনৈতিক সংকট থেকে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব।’

প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, ‘বিজিবির কাজ সীমান্ত পাহারা দেওয়া। সেখানে বিএসএফ বাংলাদেশিদের হত্যা করছে বিজিবি পদক্ষেপ না নিয়ে নিজের দেশের মানুষকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সাত দফা আলোচনা প্রস্তাব দিয়েছিল সরকারকে। কিন্তু সরকার তা মেনে না নিয়ে বিএনপিকে ইচ্ছে করে রাজপথে আন্দোলনে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা চাই শান্তি। আর এ জন্য সংলাপের বিকল্প নেই। সংলাপের মাধ্যমেই সরকার এ সংকট দূর করতে পারে।’

শওকত মাহমুদ বলেন, ‘স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ দিয়ে জাতি গঠন হয় না। সুন্দর জাতি গঠন করতে চাই গণতন্ত্র। আর গণতন্ত্র রক্ষার একটাই পথ সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার ফাতেমা আনোয়ারের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞাননী ড. দিলারা চৌধুরী, বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট কনসালটেন্ট মাহবুবুর রহমান, আশারাফ আল দীন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই