বিজিবির রাজ্জাককে যেকোনো সময় হস্তান্তর

সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) কর্তৃক অপহৃত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে ফেরত দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ফেরত দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। এখন দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে তাকে হস্তান্তর করা হবে বলে কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, আব্দুর রাজ্জাককে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের ব্যাপারে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি মিলেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিউ মিন্ট থানের মধ্যে কথা হয়েছে। এখন উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনায় নির্ধারণ করা হবে রাজ্জাককে কীভাবে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা মংডুতে রাজ্জাককে হস্তান্তর করা হবে। এজন্য দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে যেকোনো সময় পতাকা বৈঠক হবে। তবে বিজিবি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সেখানে ভালো আছেন এবং তিনি মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিজিপির অধীনেই আছে।

সূত্র জানায়, মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ সুফিউর রহমান শনিবার সে দেশের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে রাজ্জাককে ছেড়ে দেওয়ার বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় আব্দুর রাজ্জাকের যেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে তার প্রতিবাদ জানানো হয়।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ সুফিউর রহমান সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘এভাবে রাজ্জাকের ছবি প্রকাশ মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এ ক্ষেত্রে মিয়ানমার ঠিক করেনি বলে স্বীকার করে নেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে বিজিবি নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে অপহরণ করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এরপর বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত মিউ মিন্ট থানকে তলব করে এই ঘটনার নিন্দা জানায় এবং রাজ্জাককে ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানায়। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নায়েক আব্দুর রাজ্জাকের দুটি ছবি প্রকাশিত হয়। একটিতে রাজ্জাককে হাতকড়া পরিয়ে জেনারেটরের সঙ্গে শিকলবদ্ধ করে রাখা অবস্থায় দেখা যায়। ছবিটিতে রাজ্জাকের মুখে রক্তের দাগ দেখা যায়।



মন্তব্য চালু নেই