সন্তানের ওপর মারাত্মক প্রভাব

বিচ্ছেদ ঘটাতে চায় ২০ শতাংশ ব্রিটিশ দম্পতি

যুক্তরাজ্যে দিন দিন শিথিল হয়ে পড়ছে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। সম্প্রতি এক জরিপে বেরিয়ে এসেছে এমনই তথ্য। ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা ‘রিলেট’ নামের একটি সংগঠনের জরিপে দেখা গেছে, দেশটির প্রায় ২০ শতাংশ দম্পতিই প্রতিদিন পরস্পর বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত হয় এবং নিজেদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানোর চিন্তা করে।

২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ২০ হাজার ৯৮০ জন ব্রিটিশ নাগরিকের ওপর চালানো হয় ওই জরিপ। এতে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের ২৮ লাখ ৭০ হাজার বিবাহিত লোকই তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে খুব বাজে অবস্থার মধ্যে আছে। রিলেট’র গবেষক ড. ডেভিড মারজরিবাঙ্কস জানান, মা-বাবার মধ্যে নিয়মিত কলহ সন্তানের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে।

মা-বাবার মধ্যে নিয়মিত ঝগড়ার প্রভাব হিসেবে দেখা যায়, ছেলেমেয়েরা স্কুলে পড়াশুনায় খারাপ করে। এমনকি তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করেন মারজরিবাঙ্কস।

তিনি বলেন, ‘এটা শুধু একটা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াই নয়; এটা তাদের চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে এক ধরনের সংঘাত। যখন পারিবারিক সম্পর্ক ভেঙে যায় তখন সন্তানরাও অপরিহার্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

ড. মারজরিবাঙ্কস আরো বলেন, ‘যেসব শিশুর মা-বাবারা নিয়মিত নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি করে তাদের সেসব শিশুর মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য ঝুকি অনেক বেশি থাকে। স্কুলেও ভালো করতে পারে না তারা। তাদের মধ্যে নানা রকম সমাজ-বিরোধী আচরণ, এমনকি অপরাধমূল কর্মকাণ্ডও দেখা যায়।’

জরিপের তথ্যে দেখা যায়, বৈশ্বিক আর্থিক মন্দার প্রভাবে ২০১১ এবং ২০১২ সালে দাম্পত্য সম্পর্ক সবচেয়ে গুরুতর আকার ধারণ করে। তবে এখনো তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসেনি। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ২০১৩ সালে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭২০টি বিবাহ বিচ্ছেদ সংঘটিত হয়, যা ২০১২ সালের চেয়ে ৩ শতাংশ কম। আর্থিক মন্দার সময়েই ব্রিটিশ দম্পতিদের সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে ছিল বলেও রিলেট’র প্রতিবেদনে উঠে আসে।



মন্তব্য চালু নেই