বিচারপতির স্বাক্ষর জাল, ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

হাইকোর্টের দুই বিচারপতির স্বাক্ষর জাল করে চুয়াডাঙ্গা গড়াইটুপি মেলার অনুমোদন নেওয়ায় ইজারাদার শুকুর আলিসহ অজ্ঞাত ৫০ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার সকালে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-১৫।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, তিতুদাহ গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে শুকুর আলীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন গত ১৫ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা গড়াইটুপি মেলা পরিচালনার অনুমোদন দেয়।

১০ দিনব্যাপী মেলা শেষ হলে মেলার ইজারাদারদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন সময়সীমা আরো ১৫ দিন বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু মেলার নামে নগ্ননৃত্য ও জুয়া খেলা চালানোয় মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেলার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন।

পরে উচ্চ আদালতে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন জনৈক হাসান গাফফার সেলিমের পক্ষে আরো ৭ দিন মেলা পরিচালনার অনুমতি দেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক জানান, গত ৯ আগস্ট মেলার শেষ দিনে ইজারাদার শুকুর আলী হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি হাবিবুল গণির স্বাক্ষর করা একটি পিটিশন আদেশ সদর থানা বরাবর পাঠান।

সেখানে ওই দুইজন বিচারপতির স্বাক্ষর করা পিটিশনে চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপির মেলা আরো দুই মাস পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই পিটিশনে হাইকোর্টের দুই বিচারপতির পাশাপাশি স্বাক্ষর রয়েছে হাইকোর্টের সহকারী রেজিস্টার জনৈক সামসুল ইসলামের।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, হাইকোর্ট থেকে ওই পিটিশনে দুই বিচারপতির স্বাক্ষরের নিচে তারিখ রয়েছে ১১ আগস্ট। কিন্তু পিটিশনটি আমরা পাই ৯ আগস্ট। বিষয়টি আমাদের সন্দেহ হলে আমরা হাইকোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার সোহাগ রঞ্জন পালের কাছে পিটিশনটি পাঠাই। পরে তিনি নিশ্চিত করেন মেলার অনুমোদনের পিটিশনটি ভুয়া।

বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মেলার ইজারাদার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শুকুর আলীসহ আরো ৫০ জনের নামে মামলা করা হয়।

মামলাটি শনিবার নথিভুক্ত হওয়ার পর মামলার আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের কয়েকটি ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র।



মন্তব্য চালু নেই