বিক্রি হচ্ছে না কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা গরুগুলো

পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র ৪ দিন বাকি। এরই মধ্যে চাঁদপুরের দেড় শতাধিক কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। এসব হাটে দেশি গরুর সংখ্যাই বেশি। তবে যারা ওষুধ খাইয়ে গরু মোটাতাজা করেছেন তারা পড়েছেন বিপাকে।

চাঁদপুর জেলায় এবার পশুহাট বসেছে মোট ১শ ৬২টি। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে ২৯, হাজীগঞ্জ উপজেলায় ২২, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ৩৪, মতলব দক্ষিণে ২১, শাহরাস্তিতে ২৮, মতলব উত্তরে ১৩, কচুয়ায় ১০ ও হাইমচরে ৫টি হাট বসেছে।

এসব হাটের নিরাপত্তা জোরদারে ও জাল নোট চক্রের হাত থেকে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের রক্ষা করতে পুলিশ প্রশাসন ব্যাপক তৎপর রয়েছে। ইজারাদাররাও রয়েছে বেশ সজাগ।

এবার দেশি গরুর চাহিদা বেশি থাকায় দাম একটু বেশিই থাকছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে পাইকাররা বলছে বেশি দাম হাকছে না তারা। এবার ভারতীয় গরুর সংখ্যা খুবই কম হাটগুলোতে। ক্রেতারাও ভারতীয় গরুর প্রতি তেমন আকৃষ্ট নয়। এছাড়া সচেতনতার ফলে মোটাতাজাকরণের ওষুধ খাওয়ানো গরুগুলোও বিক্রি হচ্ছে না এবার।

ইজারাদার কবির হোসেন পাটওয়ারি জানায়, এবার দেশি গরুর চাপ বেশি। ভারতীয় গরু কম। আবার চাহিদা অনুযায়ী হাটগুলোতে গরুর আমদানিও কম। উসুল আদায়ে নির্ধারিত টাকাই তারা নিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

চাঁদপুর সদরের ব্রেটনারি সার্জন ফারহানা জাহান জানান, এস্টেরয়েড ট্যাবলেট খাইয়ে যারা গরু মোটাতাজা করে বাজারে উঠিয়েছে তারাই বেকায়দায় আছে। কারণ এসব গরুর গায়ে আঙুল দিয়ে চাপ দিলেই তা দেবে যায়। এতে প্রমাণিত হয়, এটি ঔষুধ খাওয়ানো গরু। ফলে ক্রেতারা সেসব গরু ক্রয় থেকে বিরত থাকছে। এছাড়া এসব গরু খেলে মানুষের মারাত্মক রোগ হতে পারে।

চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণের জন্য প্রতিটি পশুর হাটে পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত টহল থাকবে এবং প্রতারক চক্রের হাতে যাতে কেউ বিপাকে না পড়ে সেজন্য চাঁদপুর মডেল থানার একটি জাল টাকার মেশিন রাখা হবে।

আর যেসব হাটের নিকটবর্তী ব্যাংক রয়েছে সেসব ব্যাংকের জাল টাকার মেশিন পার্শ্ববর্তী হাটে রাখার নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।

এছাড়াও হাটের ইজারাদার ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক ইজারাদারদের নিজস্ব ব্যবস্থায় হাটগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য বলা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই