বিকল্প ধারাসহ কয়েকটি দলের নিবন্ধন বাতিল হতে পারে

গত কয়েক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব সঠিকভাবে জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদোজ্জা চৌধুরীর বিকল্প ধারাসহ কয়েকটি দলের নিবন্ধন বাতিল হতে পারে।

২০১৪ ও ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং ২০১৫ সালে বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ও ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন তাদের বার্ষিক হিসাব দিতে ব্যর্থ হয় বলে জানা গেছে। তাই এসব দলেরও নিবন্ধন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

আইন অনুযায়ী ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রত্যেক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু ২০১৪ ও ২০১৫ সালে এমএল ইসির চাহিদা মতো তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে না পারায় কমিশন তা গ্রহণ করেনি।

পরবর্তীতে তাদেরকে এগুলো ঠিক করে জমা দিতে বলা হলেও দলটির পক্ষ থেকে তা করা হয়নি। এছাড়া অন্য দলগুলোও ঠিকভাবে হিসাব জমা দেয়নি।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আর্থিক লেনদেনের হিসাব প্রতিটি নিবন্ধিত দলকে জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্ম দিয়ে দলের হিসাব অডিট করাতে হবে। এ হিসাবে সদস্য সংগ্রহসহ কোন খাত থেকে কত টাকা আয় হয়েছে, কত টাকা ব্যয় হয়েছে বিল-ভাউচারসহ তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য কমিশনে জমা দিতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২-এর ৯০-এইচ (১) (সি) ধারা অনুযায়ী নিবন্ধিত কোনো দল যদি পরপর তিন বছর কমিশনে তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়, তবে সে দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে কমিশন।

নিবন্ধন অবৈধ থাকায় চিঠি দেওয়া হয়নি জামায়াতকে:
আদালতের রায়ে নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত থাকা জামায়াতে ইসলামীকে এ চিঠি দেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচনে অংশ নিতে ২০০৮ সালে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হওয়ার পর ৩৯টি দল তালিকাভুক্ত হয়। পরে সংশোধিত গঠনতন্ত্র দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল করা হয়। দশম সংসদ নির্বাচনের আগে তিনটি দল নিবন্ধিত তালিকায় যোগ হলেও নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হওয়ায় বাদ পড়ে জামায়াত। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট আদালতের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হয়। বর্তমানে ইসির তালিকায় ৪০টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই