ইক্ষু প্রতি কুইন্টাল ২৭৫ টাকা

বিএনপি র-সুগার এনে চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছে : আমু

রাজশাহী : বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। এ সরকারের আমলে দেশের কৃষিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিএনপি আমলে বিদেশ থেকে র-সুগার ক্রয় করে দেশে এনে তারা দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছে। শুধু তাই নয় তারা দেশের চিনি কলগুলোকে নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। র-সুগার বাংলাদেশ আনার ফলে দেশর চিনি কলগুলোকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী চিনি কল মাঠে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন কর্তৃক আয়োজিত আখচাষী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু সাংসদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে দেশে পদ্মা সেতুর মত একটি দেশের বড় সেতু আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে আমরা তৈরীর কাজ শুরু করেছি। এই সুগার মিলকে বাঁচাতে আপানাদের কৃষকে এগিয়ে আসতে হবে। বিগত সরকারের আমলে তারা এই সব চিনি কলের বিভিন্ন সমস্যায় ফেলে গেছে। তারা কৃষকদের জন্য তেমন কিছুই করেনি। শুধু নিয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, বিদেশের সাথে আমাদের দেশর সমুদ্র শিমা নিয়ে বিরোধ ছিলো। বর্তমান সরকার প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে বাংলাদেরে সমুদ্র শিমা বিজয় করেছেন। গত তিন বছর থেকে ইক্ষুর দাম বাড়ানো হয় নি। আখের বর্তমান উৎপাদন খরচ ও প্রতিযোগি ফসলের মুনাফা বিবেচনা করে আগামী ২০১৫-১৬ মাড়াই মৌসুম থেকে আখের প্রতি কুইন্টাল মূল্য ২৫০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২৭৫ টাকা করা হলো শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এই ঘোষণা দেন।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চারঘাট-বাঘা আসনের সাংসদ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ১৯৮০ সালে আমার নির্বাচিত এলাকা চারঘাটের ক্যাডেট কলেজ এলাকায় এরাশাদের আমলে আখ চাষির ওপর গুলি করা হয়। এ সময় একজন গুলি বৃদ্ধ হয়ে মারা যান। বিএনপির আমলে তারা বিদেশ থেকে র-সুগার এনে দেশের চিনি কলগুলোকে লোকশানের মুখে ফেলেছে।

তিনি আরো বলেন, সুগার মিলের যে জমি গুলো আছে সেগুলো দখল মুক্ত করে আখ চাষ করতে হবে। প্রয়োজনে সেগুলোতে বিভিন্ন ধরনে চাষাবাদ করতে হবে। যাতে মিল লোকশানে না পরে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও নগর সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বাংলাদেশে বিদেশ থেকে র-সুগার এনে এ চিনি শিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছে। এদেশে র-সুগার আনার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছে কেনো নিয়েছে জানতে চাই। বিএনপি র-সুগার এনে দেশর মিল গুলোকে লোকশানে ফেলেছে। আমাদের দেশের তৈরী চিনি দেখতে সাদা না হলেও খেতে মিষ্টি। বিদেশের চিনে দেখতে সাদা কিন্তু তাতে বিভিন্ন কেমিক্যাল মেশানো হয়। যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। এ মিল এলাকার বেশি ভাগ মানুষ কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। তাই তাদের কথা ভেবে আমাদের চিনি শিল্পকে বাঁচাতে হলে কৃষকের কাছে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এ সুগার মিল বছরে প্রায় ৯ মাস বন্ধ থাকে। বাকি তিন মাসের মধ্যে ২ মাসের মতো চলে। আর বাকি মাসগুলো এখান কার কর্মচারী-কর্মকর্তারা বোসে বেতন পাই। আবার অনেক সময় চিনি বিক্রয় করে তাদের টাকা দিতে অনেক সমস্য হয়। আমাদের রাজশাহী আমের এলাকা এখানে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন জুস কোম্পানি আম কিনে নিয়ে যায়। তাই এই মিলের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আমরা আমের জুস তৈরী করতে পারি। তাছাড়া, আমাদের দেশে বিদ্যুতের যে সংকট রয়েছে এই মিলে আরো জনবল বাড়িয়ে মিলসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় করে বিদ্যৎ উৎপাদন করতে পারি। তাতে এ এলাকার আশেপাশের এলাকার বিদ্যৎ এর চাহিদা পুরোন হবে।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী-৩ আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দিন, সাংসদ আখতার জাহান, সাবেক মন্ত্রী জিন্নাতুন নেসা তালুকদার, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহবুব জামান ভুলু, জেলা আওয়ামী লেিগর সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। এছাড়া স্থানী আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ ১৫ চিনি কলের ইক্ষু চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই