‘বিএনপি যাত্রাপার্টি বলেই এ রকম হাস্যকর কমিটি ঘোষণা করেছে’

কাউন্সিল অনুষ্ঠানের চার মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করলো বিএনপি। ৫০২ তিন সদস্যের এ কমিটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বৃহত্তম। তবে এ কমিটিকে হাস্যকর এবং রাজনৈতিকভাবে কার্যকর হবে না বলে মনে করেছে আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা মনে করছেন, সেনাকুঞ্জে বেড়ে ওঠা দলটির মধ্যে কোনো সাংগঠনিক চর্চা না থাকায় এরকম হাস্যকর কমিটি ঘোষণা করেছে। শনিবার বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়মী লীগ নেতারা কাছে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।খবর বাংলামেইলের।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, এ কমিটিতে অনেক অযোগ্য লোকের পদায়ন করা হয়েছে। একইসঙ্গে এমন কিছু লোক রয়েছে যাদের রাজনীতির মাঠে কোনো সক্রিয়তা নেই। এমন লোকেদের দিয়ে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করাই হচ্ছে বিএনপির রাজনৈতিক নির্বুদ্ধিতার প্রমাণ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ উল আলম লেনিন বলেন, খালেদা জিয়া তার দলের কমিটি কতজনের করবে এটা তার ব্যাপার। আর এটাকে কেন্দ্রীয় কমিটি বা কার্যনির্বাহী কমিটি যে নামেই ডাকুক এটা তাদের বিষয়। কমিটি পাঁচশত জন দিবে না পাঁচ হাজার দিবে এটাও খালেদা জিয়ার ব্যাপার। তবে বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দলের ৫০৩ সদস্যের কমিটি এটাই প্রথম। অতীতেও এরকম বিশাল কমিটি দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু এসব কমিটি কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে নাই। এটা বিএনপির নেতারাও বলেছে অতীতে।

কমিটির নেতারা বিভিন্ন মামলার আসামি- এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসামি ছাড়া করবে কী? অপরাধমুক্ত, সুস্থ-স্বভাবিক এবং রাজনীতির লোক কোথায় পাবে বিএনপি? বিএনপির জন্মটাই একটা ষড়যন্ত্রের ভিতর দিয়ে।

তবে বিএনপির কমিটি নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের। তিনি বলেন, দেশের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের দলে পদপদবী দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিদের লালন পালন এবং ধারণ করে। সুতারাং এ নিয়ে মন্তব্য করার কিছু নেই।

বিএনপিকে যাত্রাপার্টি অভিহিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, তারা প্রেসরিলিজ নির্ভর একটা দল। এ দলের কোনো সাংগঠনিক জ্ঞান বা কাঠামো নেই। যেসব রাজনৈতিক দলের ইতিহাস-ঐতিহ্য আছে তারা কেউই এতো বড় কমিটি ঘোষণা করেনি।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি যাত্রাপার্টি বলেই এ রকম হাস্যকর কমিটি ঘোষণা করেছে। রাজনৈতি মাঠে দেখা যাবে কতটুকু কার্যক্রর হয় এ কমিটি।



মন্তব্য চালু নেই