বিএনপি-জামায়াত প্রতিহতের শপথ ১৪ দলের

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করা এবং বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা প্রতিরোধ করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার শপথ করেছে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোট।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৪ দলের গণমিছিল শেষে এ শপথবাক্য পাঠ করান জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের হরতাল-অবরোধে নৈরাজ্যের প্রতিবাদের এ গণমিছিলের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ১৪ দল। এ গণমিছিল বঙ্গবন্ধু স্কয়ার গুলিস্তান থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে গিয়ে শেষ হয়।
গুলিস্তানে গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘সংলাপ হবে ২০১৯ সালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে, খুনীদের সঙ্গে নয়। আজকের এ গণমিছিলের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনার বিজয় হবে।’
এসময় ৮, ৯, ১০ মার্চ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গণপদযাত্রা করবে বলে ঘোষণা দেন নাসিম।
একই সমাবেশে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘নিজেরা আন্দোলনে না পেরে বিদেশিদের ডাকছেন খালেদা জিয়া। এর আগেও অমিত শাহের ফোনের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফোরটোয়েন্টির পরিচয় দিয়েছে দিয়েছেন। আপনি আসলেই ফোরটোয়েন্টি।’
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আজকে সারাদেশের ছেলে-মেয়েদের বিনামূল্যে বই দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তারা পড়ালেখা করেছে, এখন পরীক্ষাটাও দিতে দিচ্ছেন না। আপনি এসএসসিতে ফেল করেছেন, আপনি কী বুঝবেন পড়ালেখার মর্যাদা।’
যেসব পত্রিকা-টেলিভিশন নাশকতা কর্মকাণ্ডের খরব ও চিত্র প্রচার করে উৎসাহ প্রদান করছে, ভবিষ্যতে ওই মিডিয়ার মালিকসহ সবার বিচার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
তিনি বলেন, ‘আজকে কিছু পত্রিকা ও টেলিভিশন তাদের (বিএনপি) কর্মসূচি-নাশকতা ও পেট্রোলবোমার ছবি ছাপাচ্ছে। আপনারা এগুলো কোত্থেকে পান? আপনারা এগুলো জেনে পুলিশে খবর না দিয়ে প্রচার করেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দেন। আগামীতে এমন উৎসাহ প্রদানের জন্য কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
শেখ সেলিম বলেন, ‘কোনো বিদেশি এদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। দেশের রাজনীতি এ দেশের মানুষেরাই নিয়ন্ত্রণ করবে।’
বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে শেখ সেলিম বলেন, ‘এটা খালেদা জিয়ার আন্দোলন নয়, সন্ত্রাসী তৎপরতা। তিনি গণতন্ত্র, মানবতা ও ইসলামের শত্রু। তিনি গোটা সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।’
এদিকে, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করলেই বাংলাদেশ শান্ত হবে বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি কঠিন সময়। এ কঠিন সময়ে কঠিন শত্রুকে মোকাবেলা করছি। এরা হচ্ছে আগুন সন্ত্রাস। এর নেপথ্যে খালেদা জিয়া-তারেক রহমান। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করলেই বাংলাদেশ শান্ত থাকবে।’
এসময় খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বিতাড়নের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘ঘুঘু দেখেছেন ফাঁদ দেখেননি। মিছিলে বোমা মারেন, এ বোমা একদিন আপনার মাথায় পড়বে। বাংলার মানুষ প্রস্তুত আপনার সঙ্গে লড়াই করার জন্য। আপনিও প্রস্তুত হন।’
নগর ১৪ দলের সমন্বয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, যুগ্মসম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, জেপির মহাসচিব শহীদুল ইসলাম, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই