অভিযোগ আ.লীগের

বিএনপি-জামায়াত তোষণে ভিসি, ৭ দিনের আলটিমেটাম

রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির তোষণের অভিযোগ এনেছে মহানগর আওয়ামী লীগ। শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা এমন অভিযোগ করে।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন।

তারা অভিযোগ করেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য যোগদানের পর ১০জন বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকের স্বজনকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। যার মধ্যে চারজন ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।

এরা হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের জামায়াতপন্থি শিক্ষক রেজাউল করিমের শ্যালক ও প্রাণী বিদ্যা বিভাগের জামায়াতপন্থি শিক্ষক সালাম ভূইয়ার ভাতিজা ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাথী ফয়সাল জামান, সাবেক ছাত্রশিবির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, ইংরেজি বিভাগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপাচার্যের নিজ গ্রামের সাবেক শিবির নেতা আসিউজ্জামান এবং উপাচার্যের ভাগ্নে সাবেক শিবির নেতা হাবিবুল্লাহকে ফোকলোর বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

এছাড়াও বিএনপি-জামায়াতপন্থি সাবেক উপাচার্য ফাইসুল ইসলাম ফারুকীর ছেলে এ. নাঈম ফারুকী ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগে, বিএনপি-জামায়াতপন্থি সাবেক উপাচার্য আলতাফ হোসেনের মেয়েকে ভূগোল বিভাগে, বিএনপিপন্থি শিক্ষক সাফিউজ্জামানের (সাদা প্যানেলের সদস্য) স্ত্রী চৈতি অর্থনীতি বিভাগে, বিএনপিপন্থি শিক্ষক আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে তামজীদ হোসেন ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগে, বিএনপিপন্থি শিক্ষক শহিদুর রহমানের মেয়ে রিদা খাতুনকে দর্শণ বিভাগে এবং বিএনপিপন্থি অপর এক শিক্ষকের স্ত্রী রাবেয়া বসরীকে অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

এছাড়াও উপাচার্য আঞ্চলিকতার কারণে জামায়াতপন্থি শিক্ষককে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শহীদ ফারুক হোসেনের বোনের চাকরি স্থায়ী করার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, গত ১৬ এপ্রিল বিএনপি ও জামায়াত-শিবির তোষণ, স্বজনপ্রতি, নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম-দুর্ণীতি সম্পর্কে প্রতিবাদ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফারুকের বোনের চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানাতে উপাচার্যের দপ্তরে গেলে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়। এসময় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক হাবিবুর রহমান মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদাত হোসেনকে লাঞ্ছিত করেন। কিন্তু উপাচার্য তার অনিয়ম-দুর্নীতি আড়াল করার জন্য গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে সাতদিনের আলটিমেটাম দিয়ে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই