‘বিএনপি জামায়াতের সংস্কৃতি মেনে নিয়েছে’

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে না যাওয়ায় প্রমাণ হয়- বিএনপি জামায়াতের সংস্কৃতি মেনে নিয়েছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রবিবার আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ সব কথা বলেন। ‘খালেদার রোষানলে পুড়ছে মানুষ, পুড়ছে দেশ, রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘জামায়াতকে অনুসরণ করে ঘরের মধ্যে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে শহীদ দিবসের কার্যক্রম শেষ করেছে বিএনপি। জামায়ত কখনও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসে না। খালেদা জিয়া জামায়াতের আচার-অনুষ্টান অনুরসরণ করতে শুরু করেছে।’

চলমান সঙ্কট নিরসনে যারা সংলাপের কথা বলেন তাদের উদ্দেশে কামরুল বলেন, ‘সব সময়ই কিছু জ্ঞানপাপী ও বুদ্ধিজীবী থাকে। ১৯৭১ সালেও কিছু বুদ্ধিজীবী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। তারই ধরাবাহিকতায় এখনও কিছু ‘সুশীল বাবু’ সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করছে। তবে তারা সংখ্যায় খুব নগণ্য।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির এই কার্যক্রম কোনো রাজনৈতিক সঙ্কট নয়, এটি সন্ত্রাস। তারা কোনো রাজনৈতিক কথা বলে না। আমরা কোনো রাজনৈতিক কথা বললে পাল্টা জবাব আসে না, তাই কথা বলতেও ভালো লাগে না।’

চলমান সহিংসতা বন্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও সন্ত্রাস দমন করা হবে বলেও জানান তিনি।

সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, শাহ আলম মুরাদ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই