বিএনপি এখন কী করবে ?

সিটি নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি কী এখন সহসাই আবার আন্দোলনে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাবে ‘না’ উত্তর মিলেছে বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে। তাদের কথা হলো এবার ভেবে-চিন্তে, সবার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে। নতুন করে ‘হটকারী’ কোনো সিদ্ধান্তে যাওয়া যাবে না।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, ‘নির্বাচন বর্জন করার পর আমাদের এখন পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে, তা জানতে সময় লাগবে। এবার দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়ার পেছনে একটি টার্গেট ছিল। শেষ পর্যন্ত ভোটের দিন ভোট বর্জন করাও হয়েছে চিন্তা করে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপিতে যারা নির্বাচনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তাদেরও একটা চিন্তা আছে। এবার কর্মসূচি বা করণীয় ঠিক করতে তাদের সঙ্গেও কথা বলা হবে।’

বিএনপির চেয়ারপারসন সহসাই সংবাদ সম্মেলন করছেন কী না, হরতালসহ নতুন কোনো কর্মসূচি আসছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো এসব নিয়ে কোন আলোচনাই শুরু হয়নি। দু’একদিনের মধ্যে হয়তো ম্যাডাম এনিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারেন।’

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং-এর কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান বলেন, ‘বিএনপি একটি দীর্ঘ আন্দোলনের পর এই নির্বাচনে গিয়েছে। এখন নির্বাচন বর্জনের পর হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। ২০ দলীয় জোটের শরীকদের সঙ্গে আগে বৈঠক হবে। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলে তা যদি কোনো ফল বয়ে নাও আনে তবুও এককভাবে বিএনপিকে দায় নিতে হবে না।’

তিনি জানান, ‘এই নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া জানতেও বিএনপি সময় নিতে চায়। তারপর নতুন কোনো কর্মসূচি বা সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান বলেন, ‘২০ দলের সিদ্ধান্তেই নির্বাচন বর্জন করা হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে ম্যাডাম দলের সিনিয়রদের সঙ্গে বসবেন। ২০ দলের শরীকদের সঙ্গে কথা বলা হবে। কথা বলা হবে সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গেও। তারপর নতুন সিদ্ধান্ত আসবে। ম্যাডম হয়তো সেই সিদ্ধান্তের কথা সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন। কিন্তু তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’



মন্তব্য চালু নেই