বিএনপির ৭৯ নেতাকর্মী-পোলিং এজেন্ট আটক

ঢাকা সিটি করেেপারেশন নির্বাচনের ১২ ঘণ্টা আগে দলের ৭৯ জন নেতা-কর্মী ও এজেন্টকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি জোট ও তাদের নির্বাচন পরিচালনাকারী নাগরিক সংগঠন ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে বিএনপি জোটের সর্বমোট ৬৯ জন নেতা-কর্মী ও পোলিং এজেন্টকে আটক এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে জোটের সর্বমোট ১০ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জোটের দাবি, বিএনপির ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তরের ৭নং ওয়ার্ডের পদপ্রার্থী ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন দুলুর স্ত্রী, ৩৫ নং ওয়ার্ডের শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল শিকদার, ২৪ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকতার হোসেন, ২৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও বিএনপি তেজগাঁও থানার সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল গাজীসহ তিনজন, ২৪ নং ওয়ার্ডের তেজগাঁও থানার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিনসহ ১৭ জন, ৩৩ নং ওয়ার্ডের যুবদল নেতা আবু বক্কর, মোহাম্মদপুর থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এম এ মান্নন, ৭ নং ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত সোহাগ, মো. হোসন, আমিনুল, হানিফ, আব্দুল মজিদ, লম্বা আরিফ, মাস্টার কামাল এবং আরো নয়জন।

৮ নং ওয়ার্ডের জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আটজন, একই ওয়ার্ডের উত্তরা থেকে ছাত্রদলের চারজন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুর রহমান, ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী রুনু আকতারের কন্যা এবং ছেলে, কারওয়ান বাজারের নিকট থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাক্তন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হায়দার আলী খান লেলিন এবং যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া, ২৪ নং ওয়ার্ড থেকে সাতজন পলিং এজেন্টসহ সর্বমোট ৬৯ জন বিএনপি জোটের নেতা-কর্মী উত্তর সিটি থেকে আটক হয়েছেন।

অন্যদিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবুল খায়ের বাবলু, ওলামা দলের মতিঝিল থানার সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী বন্ধু দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম শফিকুল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, বিএনপি সমর্থিত পারভেজ সহ সাতজন গ্রেফতার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে জোটটি।

এছাড়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর ছোট ভাই কামরুল হাসান রাজুকে মিরপুর থেকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির দাবি, রাজু বগুড়া ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিক্যালে চাকরি করেন। সেই উপলক্ষে ঢাকা আসলে মিরপুর থানার পুলিশ তাকে আটক করেছে।

বিএনপি জোট অভিযোগ করেছে, ঢাকা উত্তরে তাদের সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষ থেকে ১৮ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দফায় ১০টি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই