বিএনপি’র সিটি নির্বাচন থেকে সরে আসা আত্মঘাতী হবে : ওবায়দুল কাদের

“বিএনপি’র সিটি নির্বাচন থেকে সরে আসা আত্মঘাতী হবে” মন্তব্য করে সড়ক ও সেতু পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে তারা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে সরে আসার অজুহাত খুঁজছে, এ সিদ্ধান্ত হবে তাদের জন্য আত্মঘাতী। বিগত ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে অংশগ্রহন না করে তারা যে ভুল করেছে। সে ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে গেলে তারা আবারও ভুলের চোরাবালিতে আটকে যাবে। বুধবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ছোট ফেনী নদীর উপর প্রায় দুই’শ কোটি টাকা ব্যায়ে দেশের দীর্ঘতম মুছাপুর ক্লোজার নির্মাণ কাজ পরিদর্শণকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সহায়তা করে যাচ্ছি। নির্বাচন কমিশন যদি সরকারের আরও সহযোগিতা প্রয়োজন মনে করে তবে সরকার সে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে। সরকার নির্বাচন কমিশনের কাজে কোন ধরনের বাঁধা সৃষ্টি করছে না বলেও তিনি জানান।

পরিদর্শন শেষে মুজাপুর ক্লোজার সংলগ্ন মাঠে মুছাপুর ক্লোজার নির্মাণ সাইটে স্বাগতম অনুষ্ঠানে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহামন বাদলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সড়ক ও সেতু পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজুল হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম এমপি বীরপ্রীতক, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আসিফ আহমেদ আনসারী, জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্তি মহাপরিচালক (প্ল্যানিং) যতি দাস কুন্ডু, পুলিশ সুপার (এসপি) ইলিয়াছ শরীফ সহ সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, কোম্পানীগঞ্জের উপকূলে অব্যাহত নদীভাঙ্গন ঠেকাতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে ‘নতুন ডাকাতিয়া ও পুরাতন ডাকাতিয়া-ছোট ফেনী নদীর পানি নিস্কাশন প্রকল্পের’ আওতায় কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুরে ২০০৫ সালে প্রথম ১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৩ ভেন্টের রেগুলেটর নির্মাণ শুরু হয়।

২০০৫ সালের ৮মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেছিলেন। ২০০৬ সালে এপ্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৫ সালের মার্চ মাসে প্রথম দিকে বাঁধ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করার বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করেছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ২০১৩ সালে ৪৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বরাদ্দ দেয়া হলেও তার কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় পরবর্তিতে ১শ ৫০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি জেলায় সরকারি সফর এসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক ভাবে মুছাপুর রেগুলেটর ক্লোজার বাঁধ নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনের পর ২মাস ১৪ দিন কাজ করার পর নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য ৪৯ কোটি ৪৮লাখ বরাদ্ধ দেয়ার পর বাংালাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ওয়েস্টেন কোম্পানী লিমিটেড নামের সংস্থা ক্লোজার নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

রেগুলেটরের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর ২৩টি ভেন্টে ২৩টি করে রেডিয়্যাল গেইট ও ফ্ল্যাব গেইট স্থাপন করা হয়। এ রেগুলেটরের পানি নিষ্কাশন ক্ষমতা হচ্ছে ৭৫৬.১৫ ঘনমিটার/সেকেন্ড এবং এর পানি ধারন সমতল (+) ৪.০০ মিটার (পিডব্লিউডি)।



মন্তব্য চালু নেই