বিএনপির শীর্ষ পদে খালেদা-তারেক পুনর্নির্বাচিত

বিএনপির চেয়ারপারসন পদে বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে তার ছেলে তারেক রহমান পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপির শীর্ষ এ দুই পদে নির্বাচনে লড়তে আর কেউ মনোনয়নপত্র না নেয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন মা-ছেলে।

রোববার বিকেলে পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় খালেদা-তারেকের নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।

আগামী ১৯ মার্চ বিএনপির চেয়ারপারসন পদে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এই নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন পদে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে গত ২ মার্চ মনোনয়নপত্র নেন দলের যুগ্ম মহসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয় মনোনয়নপত্র জমাও দেন রিজভী।

সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির মুখপত্র দৈনিক দিনকালের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় তারেক রহমানের এজেন্ট যুগ্ম-মহাসচিব মো. শাহজাহান তার পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন পদে নির্বাচনের জন্য ১৯ মার্চ দিন রেখে ২৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ সময় ছিল ২ মার্চ, জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল ৪ মার্চ বিকেল ৪টা। ৫ মার্চ ছিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল আজ বিকেল ৫টা।

বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ১৯৮২ সাল থেকে তার স্বামীর গড়া দল বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। অন্যদিকে ১৯৮৮ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় তার বড় ছেলে তারেক রহমান ২০০৯ সালে বিএনপির পঞ্চম কাউন্সিলে দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যানের পদ পান। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ একাধিক মামলার বোঝা নিয়ে তারেক বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন।



মন্তব্য চালু নেই