বিএনপিতে জঙ্গিবাদের কোনো অস্তিত্ব নেই

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, ‘বিএনপিতে জঙ্গিবাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। জঙ্গিবাদের ইঙ্গিত থাকলে আমি অন্তত এ দলের সঙ্গে থাকতাম না।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘দেশের কথা বলা মানেই জঙ্গিবাদ নয়।’

সম্প্রতি দেশে দুই বিদেশি হত্যার রহস্য উদঘাটনে প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘এ হত্যার রহস্য উদঘাটনে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব এজেন্ট ব্যর্থ হয়েছে। সরকার এ হত্যাকাণ্ড ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে। তাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’

বিদেশি হত্যায় প্রধানমন্ত্রী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়ার তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ফলে প্রকৃত দোষীরা আড়ালে পড়ে যাবে। ফলে ভবিষ্যতে তারা আরো অপরাধ করতে উৎসাহিত হবে।’

বিদেশিরা এ দেশে উন্নয়নের সাহায্যকারী হিসেবে আসেন উল্লেখ বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘বিদেশরা এ দেশে বিনিয়োগ করেন, শিল্প-কলকরখানা স্থাপন করেন। কিন্তু তাদের হত্যা করে দেশের ক্ষতি করতে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে হবে।’

বিদেশি হত্যায় সরকারের ব্যর্থতা আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এ হত্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে দুঃখ পেয়েছি। ভোট পান আর না পান, তিনি তো সম্মানিত লোক। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দেশের উন্নয়ন করছেন, তা আমি অস্বীকার করছি না। তবে তিনি ভোটারবিহীন প্রধানমন্ত্রী। তাই তার পক্ষে দেশের আরেকজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সমীচীন নয়।’

গাইবান্ধা জেলার এমপির গুলিতে শিশু আহত হওয়ার ঘটনাসহ নারী নির্যাতনের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন নেই। কিন্তু সরকার বলছে- আছে। এই যদি হয় সুশাসন তাহলে কু-শাসন কাকে বলে?’

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার প্রাপ্তি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের দেশের জন্য গর্বের বিষয়। কিন্তু তিনি যে কারণে এ পুরস্কার পেয়েছেন তাতে আমার সন্দেহ আছে। এ পুরস্কার পাওয়ার পিছনে মাজেজা আছে। এর ভিতরের কেচ্ছাটা কী তা সকলেই বুঝতে পারছেন।’

দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচনের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি-না, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের চেয়ারপারসন। তবে ব্যক্তিগতভাবে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে আমি পছ্ন্দ করছি না।’

এসময়ে যুবদল কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন মামুন, সাইফ আলী খানসহ দলের অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই