বায়তুল মোকাররম এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা

জামায়াতের প্রাক্তন আমির গোলাম আযমের জানাজাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও এর আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে পুলিশ।

শনিবার সকাল থেকে বায়তুল মোকাররমের সামনে, পুরানা পল্টন, দৈনিক বাংলার মোড়, মতিঝিল, কাকরাইল, মগবাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপকহারে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমে জামায়াতে ইসলামীর প্রাক্তন আমির গোলাম আযমের জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।  এ জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে জানান, গোলাম আযমের জানাজাকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররম এলাকায় বড় ধরনের জমায়েত করার জন্য জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর শাখা থেকে সারা দেশে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। মেসেজে বলা হয়েছে, তারা এই এলাকায় লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ করতে চায়। ওই সমাবেশ থেকে যাতে কোনো ধরনের উসকানিমূলক ঘটনা না ঘটাতে পারে, সে জন্যই পুলিশের পক্ষ থেকে এই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গোলাম আযম। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

গোলাম আযম দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার তার রক্তচাপ সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়। বেলা ১১টার দিকে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সন্ধ্যায় তার অবস্থার গুরুতর অবনতি হলে রাত ৯টা ২০ মিনিটে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। রাত ১০টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়। সকাল ৮টার দিকে মগবাজারের বাসায় নেওয়া হয় তার লাশ।

গোলাম আযমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আযমী জানান, তাদের ছয় ভাইয়ের মধ্যে পাঁচজনই দেশের বাইরে থাকেন। তারা দেশে ফিরলে মগবাজারে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই