বায়তুল মোকাররমে কোকোর মরদেহ

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ দ্বিতীয় জানাজার জন্য জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আনা হয়েছে। লাশবাহী গাড়িতে কোকোর মরদেহ আনা হয়েছে।

মরদেহ বহনকারী গাড়ি ঘিরে বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মী মিছিল সহকারে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়।

আরাফাত রহমান কোকোর জানাজায় অংশ নিতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতর এবং আশপাশের এলাকায় প্রচুর লোক সমাগম হয়েছে। জনতার ভিড়ে পল্টন থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা সালাউদ্দিন আহমেদ কোকোর জানাজায় ইমামতি করবেন।

গুলশান কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার ২টা ৫০ মিনিটের দিকে কোকোর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি রওনা হয়। বাদ আসর বায়তুল মোকাররমে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে কোকোর মরদেহ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। কবর প্রস্তুত করা হয়েছে।

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে কোকোর মরদেহ গুলশান কার্যালয়ে পৌঁছায়।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ সরাসরি গুলশানে নিয়ে আসা হয়েছে। এ সময় স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে কার্যালয়ের আশপাশের পরিবেশ।

মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে কোকোর কফিন মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের এমএইচ-১০২ বিমানে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তার স্বজনেরা। বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকায় অবতরণ করে বিমানটি। মরদেহ গ্রহণ করেন দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী বিমানবন্দর এলাকায় উপস্থিত হন।

কোকোর মরদেহের সঙ্গে আসেন তার স্ত্রী শর্মিলা রহমান, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান, মামা শামীম এস্কান্দার, তার আত্মীয়স্বজন, শামীম এস্কান্দারের শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু, কোকোর মামাশ্বশুর এবং মালয়েশিয়া বিএনপির ২০ থেকে ২৫ জন স্থানীয় নেতা।

গত শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। মালয়েশিয়ার নিগারায় জাতীয় মসজিদে রোববার বাদ জোহর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

তার মৃত্যুতে সোমবার থেকে তিন দিন দেশব্যাপী শোক দিবস পালন করছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন। এ উপলক্ষে দলটির দেশের সকল কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করছেন।

সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরদিন চিকিৎসার জন্য স্ত্রী শর্মিলা রহমান, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান নিয়ে থাইল্যান্ড চলে যান তিনি। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় যান কোকো।



মন্তব্য চালু নেই