বাড়ি ফেরার ঝক্কিতেও সতেজ থাকবেন যেভাবে

এই গরমে সারা মাস রোযা রাখা, তারপর আবার ভিড় ঠেলে শপিং। বাড়ি ফেরার সময়ও করতে হয় যুদ্ধ। এই যুদ্ধ করতে করতে নিজেকে ফ্রেশ রাখা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু কিছু বিষয় মনে রাখা আপনার ক্লান্তি কমাতে পারতে ভ্রমণে এবং দীর্ঘসময় পথে থাকার পরও দিতে পারে ফ্রেশ লুক।

প্রচুর পানি পান করুন
গরমে নিজেকে ঠান্ডা রাখতে বেশী বেশী পানি পান করুন। তবে খুব ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলুন। হালকা ঠান্ডা পানি পান করুন। পানির বদলে শরবত, ডাবের পানি, ফলের রসও পান করতে পারেন। ঘামের সাথে আমাদের শরীর থেকে সোডিয়াম, ক্লোরাইডসহ প্রয়োজনীয় লবণ বের হয়ে যায়। ফলে আমরা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ি। এমন পানীয় পান করুন যাতে এই উপাদানগুলো বিদ্যমান থাকে। সফট ড্রিংক্স এড়িয়ে চলুন।

হালকা রঙের পোশাক
এই গরমে পোশাকের রং হালকা হওয়া খুবই জরুরী। আপনি যদি আরামদায়ক ভ্রমণ করতে চান তাহলে অবশ্যই হাকলা রঙের পোশাক পড়ুন। একই সাথে পোশাকটি হওয়া চাই ঢিলেঢালা এবং নরম কাপড়ের।

খোলামেলা জুতা পরুন
ঢাকা জুতায় পা বেশী ঘামে, জ্বলুনী হয়। খোলামেলা, স্যান্ডেল ধরণের জুতা বেছে নিন। এতে এতটা রাস্তা পায়ে জুতা থাকলেও আপনার খারাপ লাগবে না বা অস্বস্তি বোধ করবেন না।

রোদ চশমা এবং কাপড়ের চশমা
রোদ থেকে বাঁচতে রোদ চশমা বা সান গ্লাস পড়ুন। সানগ্লাস আপনার চোখকে শান্তি দেবে। আপনি যদি আগে থেকেই চশমা ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সানগ্লাসেও পাওয়ার অ্যাডজাস্ট করে নিন। কিন্তু বাসে তো আর সানগ্লাস পড়ে থাকতে পারবেন না। চোখ ঢেকে রাখতে ব্যবহার করুন কাপড়ের চশমা।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি ত্বক পুড়িয়ে ফেলে, বাড়িয়ে দেয় ক্যান্সারের সম্ভাবনা। তাই অবশ্যই ভাল মানের সানস্ক্রিন ব্যাবহার করুন। ঘামে ধুয়ে গেলে আবার হাত মুখ ধুয়ে সানস্ক্রিন লাগান। কোনভাবেই এই তীব্র রোদ গেয়ে লাগতে দেবেন না।

ছাতা বা হ্যাট
অবশ্যই ছাতা নিন সাথে। নিদেনপক্ষে একটি হ্যাট। আপনি যতই ফুরফুরে কাপড় পরুন না কেন আর চুল উঁচিয়ে বাধুন না কেন সূর্য্য কিন্তু আক্রমণ করবেই। তাই নিজেকে যতটা পারুন ছায়ায় রাখুন।

মুখে চোখে পানি দিন
যখনই সুযোগ পাবেন মুখে চোখে দিন পানির ঝাপটা। বার বার মুখ ধুলে এমনিতেই ফ্রেশ করবেন আপনি। বাইরের ধূলা আমাদের ক্লান্ত করে। সম্ভব হলে ফ্রেশওয়াশ রাখুন ব্যাগে। অথবা বোতলে রাখুন শশার রস।

নিজেকে ঢেকে রাখুন
মুখ এবং চুল ঢেকে রাখুন। বাইরের ধূলো আপনার ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই স্টাইল বাদ দিন, বাদ দিন অন্যরা কি ভাবছে সেই ভাবনা। নিজেকে যতটা সম্ভব ধূলা থেকে রক্ষা করুন। বাসের জানালা বন্ধ রাখুন সম্ভব হলে।



মন্তব্য চালু নেই