বাড়তি মেদ নিয়ে দুশ্চিন্তা? আপনি ঘর বসেই সহজ যে কৌশলে দূর করবেন

বাড়ি-ঘর পরিষ্কার রাখতে কে না চায়। ছোট পরিবারগুলোতে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই চান তার বাসাটা যেন পরিপাটি থাকে। তবে এই পরিপাটি রাখার দায়িত্বটা বেশির ভাগ সময়েই স্ত্রীর উপরই বর্তায়। সোজা কথায় মেয়েরাই ঘর পরিপাটি রাখার কাজটা করে থাকেন।

তবে এই ঘর পরিষ্কার করার মাধ্যমেও যে কেউ নিজের শরীরের বাড়তি মেয়াদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন। এ জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে।

আসুন জেনে নেয়া যাক সেই কৌশলগুলো-

বাথরুম পরিষ্কার:
বাথরুম পরিষ্কার করতে গিয়েও আপনার ঘাড়, বুক, পেট ও পিঠের ভালো ব্যায়াম হতে পারে। এজন্য প্রথমে মেঝেতে তোয়ালে বা নরম কোনো কাপড় বিছিয়ে এক হাঁটু তার ওপর রাখুন। আরেক হাঁটু বাথটাবের গায়ে ঠেস দিয়ে রাখবেন। এক হাতে দেহের ভর রেখে আরেক হাতে বাথটাবের ভেতরটা ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন। নির্দিষ্ট সময় পর পর হাঁটু বদলান। বুক, পিঠ ও পেটের মূল পেশীগুলোকে কাজে লাগান বেশি করে।

তবে এভাবে কাজ করতে গিয়ে কখনও বাথটাবের ভেতরে বেশি ঝুঁকবেন না। বেশি ঝুঁকে কাজ করলে পিঠে ব্যাথা হতে পারে।

ঘর ঝাড়ু:
ঘড় ঝাড়ু দিতে দিতেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন মেদহীন দেহ! এজন্য যতটা পারা যায় সটান থেকে ঝাড়ু ধরুন। না ঝুঁকে সোজা হয়ে দাড়িয়ে ঝাড়ু দেয়ার চেষ্টা করুন। ঝাড়ু ঘোরানোর বেলায় কোমর ও পায়ের নড়াচড়ার দিকে জোর দিন।

তবে খেয়াল রাখতে হবে ঝাড়ু দেয়ার সময় যেন হাতের কব্জিতে চাপ না পড়ে। মেরুদণ্ড বাঁকাবেন না। শরীর থেকে এতটা দূরে ঝাড়ু ধরবেন না যেন আপনাকে ঝুঁকতে হয়।

ভ্যাকুয়াম ক্লিনার:
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করে ধুলো-ময়লা পরিষ্কার করার কাজটি করতে গিয়ে আপনি সহজেই আপনার পা, পশ্চাদ্দেশ, পেট, ঘাড় ও বুকের পেশীর ব্যায়াম করতে পারেন।

এজন্য একই রেখায় এক পা সামনে এবং এক পা পেছনে রেখে হাঁটু কিছুটা বেঁকিয়ে দাঁড়ান। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার হাতে হালকাভাবে ধরুন এবং কনুই বেঁকিয়ে ও সোজা করে চালান। পা এবং পশ্চাদ্দেশ ব্যবহার করে দেহের ভর একবার সামনের পায়ে ও একবার পেছনের পায়ে নিন।

তবে খেয়াল রাখতে হবে হাঁটু যেন সোজা না হয়। যদি তা করেন তবে দেখবেন আপনি ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের ওপর ঝুঁকে আছেন আর এতে করে পিঠে ব্যাথা হতে পারে।

রান্নাঘর পরিষ্কার:
রান্নাঘর পরিষ্কার করার কাজটি যতই নিরানন্দ মনে হোক তা আপনার ঊর্ধ্বাঙ্গের বিশেষ করে বাহু ও পেটের বেশ কাজে লাগতে পারে।

এজন্য প্রথমেই রান্নাঘরের কাওণ্টারের পাশে এক পা সামনে এক পা পেছনে রেখে দাঁড়ান। কোমর থেকে নয় মাজা থেকে ঝুঁকবেন। কাওণ্টার পরিষ্কার করবেন গোল গোল করে কাপড় ঘুরিয়ে। তাহলে একবার সামনে, একবার পেছনে ঝুঁকতে হবে এবং প্রয়োজন মতো চাপ প্রয়োগ করতে পারবেন। এতে আপনার ‘কোর’ (অর্থাৎ বুকের নিচ থেকে তলপেট পর্যন্ত সামনে এবং পেছনে) পেশীগুলো সচল হবে।

তবে কখনওই কাওণ্টারে ঠেস দেবেন না। তাহলে কোর পেশীগুলোর কোনো ব্যায়াম হবে না। আপনার জায়গা থেকে শরীর বেশি বাঁকাবেন না। প্রয়োজন হলে পশ্চাদ্দেশ এবং পা ব্যবহার করে ঝুঁকুন। -যুগান্তর।



মন্তব্য চালু নেই