বাহারি টমেটোর যত গুণ

শীতকালীন রসালো একটি সবজি টমেটো। তবে কাঁচা বা রান্না সবভাবেই টমেটোর ব্যবহার হয়ে থাকে। টমেটোর জুস, কেচাপ, স্যুপ, সস এবং সালাদের জুড়ি মেলা দায়। সারা বছরই সবজির তালিকায় বাজারে তার দেখা পাওয়া যায়। প্রাকৃতিকভাবে পাকানো এবং সংরক্ষিত টমেটোর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। ছোট-বড়, গোল, লম্বাটে, লাল, হলুদ, সবুজ, কালো বিভিন্ন রং-এর এবং বিভিন্ন আকারের ও স্বাদের টমেটো আছে। জেনে নেয়া যাক বাহারি টমেটোর সব গুণ।

দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়

টমেটোতে রয়েছে চোখের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘এ’। এটি দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে। রাতকানা রোগ ও মলিকুলার ডি-জেনারেশন প্রতিরোধে রয়েছে কার্যকরী ভূমিকা।

ক্যান্সার প্রতিরোধ

টমেটো সবজি হলেও এর মধ্যে রয়েছে ফলের বিভিন্ন গুণ। এজন্য রান্না না করেও ফলের মতো খাওয়া যায়। টমেটোই বিদ্যমান লাইকোপেন নামের উপাদানটি ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষ করে ফুসফুস, পাকস্থলী ও প্রোস্টেট ক্যান্সার। ভারি খাবারের পর একটু টমেটোর জুস খেলে তা হজমেও সহায়তা করে।

নার্ভ শান্ত রাখে

যাদের খাবারে অরুচি, তাদের জন্য টমেটো খুবই উপকারী। তাছাড়া টমেটো উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও ভূমিকা রাখে। টমেটো নার্ভকে শান্ত রাখে এবং ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে।

রক্তকে স্বাভাবিক রাখে

একটি টমেটো দিতে পারে দৈনিক প্রয়োজনের ৪০ ভাগ ভিটামিন সি। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, পটাসিয়াম এবং আয়রন। এর সব ক’টিই রক্তকে স্বাভাবিক ও সবল রাখে। এতে থাকা ভিটামিন ‘কে’ রক্ত পড়া ও জমাট বাঁধা নিয়ন্ত্রণ করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

টমেটোতে থাকা লাইকোপেন কার্ডিওভাসকুলার রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। নিয়মিত টমেটো খেলে রক্তের কোলেস্টরল ও ট্রিগলাইসিরাইডের মাত্রা ঠিক থাকে। এ ছাড়া শিরায় চর্বি জমতে দেয় না।

হজমশক্তি বাড়ায়

নিয়মিত টমেটো খেলে হজমপ্রক্রিয়া ভালো থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া রোধ করে। এ ছাড়া জন্ডিস প্রতিরোধ করে এবং শরীর থেকে টক্সিন সরিয়ে দেয়।



মন্তব্য চালু নেই