বাস পুড়িয়ে বাসমার্কায় ভোট চাচ্ছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত তিন মাসে জ্বালাও-পোড়াওয়ের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া যে হাত দিয়ে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে জনগণ ও বাস পুড়িয়েছেন সে হাত দিয়ে এখন ভোট চাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘গত তিন মাস ধরে বিএনপি নেত্রী পেট্রোলবোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করে জনগণকে হত্যা করেছেন এবং বাস পুড়িয়েছেন। সে একই হাত দিয়ে তিনি এখন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট চাচ্ছেন। তিনি কীভাবে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার দলের প্রার্থীর ‘বাস’ প্রতীকের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন? তথাকথিত আন্দোলনের সময় তিনি বাস পুড়িয়েছেন।’

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আবদুল আউয়াল মিন্টুর দেয়া অধিকাংশ অর্থই জনগণকে পুড়িয়ে হত্যা ও বাস পোড়ানোতে ব্যবহার হয়েছে। অথচ খালেদা জিয়া এখন এই ‘বাস’ প্রতীকের পক্ষে ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণের কাছে ভোট চাচ্ছেন।’

রোববার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষক লীগ সংগঠনের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমও বক্তৃতা করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ মো. মোতাহার হোসেন মোল্লা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা।

এতে কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি কৃষিবিদ মির্জা আব্দুল জলিল, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট খান আলতাফ হোসেন ভুলু, সহ-সভাপতি ছবি বিশ্বাস এমপি, শরীফ আশরাফ, আলহাজ শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আকবর আলী চৌধুরী, আব্দুল লতিফ তারিন, এডভোকেট শাহ আশরাফুল হক জর্জ, এ টি এম আজিজুর রহমান বুলবুল, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট উম্মে কুলসুম এমপি ও রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিলুর রহমান সোহাগ এবং কৃষিবিদ শওকত হোসেন সুইটও বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট উম্মে কুলসুম ও সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হোসেন সুইট সংগঠনের প্রকাশনা ‘কৃষকের কন্ঠ’ এর একটি কপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রী গতকাল শনিবার তার রেলখাতের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড উদ্বোধনের খবরের পরিবর্তে বিএনপি নেত্রীর নির্বাচনী প্রচারকে বেশি কাভারেজ দেয়ার সমালোচনা করে বলেন, ‘জনগণ এবং বাস পোড়ানো হলেও মিডিয়া হেডলাইন করতো। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যথাযথ প্রচার পায় না এবং গণমাধ্যমের কাছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কোনো মূল্য নেই। কেন এ ধরনের সঙ্কীর্ণমনতা?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা জনগণকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে, জনগণ তাদেরকে ঘৃণা করে। বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্বর কর্মকাণ্ডের কারণে গত তিন মাস জনগণ তাদের দোকান খুলতে এবং ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারেনি। কিন্তু বিএনপি নেত্রীকে গতকাল গুলশানে একজন দোকানদারের কাছে ভোট চাইতে দেখা গেছে। দোকানদারকেও হাসতে দেখা গেছে।’

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ কীভাবে ভুলতে পারে গত তিন মাসে তাদের ব্যবসা করতে না পারার এবং অপূরণীয় ক্ষতির কথা। আমি বুঝতে পারি না আমরা কেন জনগণের জন্য রাজনীতি করছি।’

সূত্র: বাসস



মন্তব্য চালু নেই