বাস কেড়ে নিলো বাবা-মা ও মেয়ের প্রাণ

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলেট-ঢাকা মহসড়কের রশিদপুর সাতমাইল নামক স্থানে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-মা ও মেয়েসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে সুরমা এক্সপ্রেসের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪৫৬২৯) সঙ্গে একটি মাইক্রোবাসের (ঢাকা মেট্রো চ-১৪১৯৭৭) সংঘর্ষ ঘটলে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী।
নিহতরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংকের ঢাকা প্রিন্সিপাল অফিসের ডিজিএম নূরুল আফসার (৪৮), তার স্ত্রী উম্মে কুলসুমা, কন্যা মুনতাহিনা ইসলাম (১৪) ও মাইক্রোবাস চালক পলাশ (৩৭)।
এছাড়াও এ ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তার আরেক কন্যা ফাতেমা বেগম (১০) ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।
অগ্রণী ব্যাংকের সিলেট অঞ্চলের পিডি মোখলেছুর রহমান জানান, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ডিজিএম নূরুল আফসার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সিলেটে বেড়াতে আসছিলেন। মঙ্গলবার ভোরে একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস ভাড়া করে তিনি সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। এজন্য ৮ ও ৯ তারিখের জন্য নগরীর হোটেল সুপ্রিমেও রুম বুকড করা হয়েছিল। কিন্তু, হোটেলে পৌঁছার আগেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে, সুরমা এক্সপ্রেসের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৫৬২৯) সিলেট থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। সিলেট থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে রশিদপুর সাতমাইল নামক স্থানে পৌনে ১১টায় বাসটির চাকা পাংচার হয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসের (ঢাকা মেট্রো চ-১৪-১৯৭৭) ওপর বাসটি উল্টে পড়ে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দক্ষিণ) জেদান আল মুসা জানান, নিহতের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে এবং দুজন হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও দুপুর ১২টার দিকে আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, নূরুল আফসার এর আগে সিলেটে অগ্রণী ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এ কারণে সিলেটের প্রতি ছিল তার আলাদা টান। আর এ টানেই তিনি ছুটে আসছিলেন সিলেটে।



মন্তব্য চালু নেই