বাস ও ট্রেনে উঠলে বমিভাব হয়? জেনে রাখুন প্রতিকার

ভ্রমণে বের হলে বাস, ট্রেন, লঞ্চ, বিমান কোনো না কোনো বাহনের প্রয়োজন পড়ে। আর অনেকেই এই ধরণের বাহনে উঠলে বমিভাব ও সেই সাথে মাথা ঘোরানোর মতো অস্বস্তি অনুভব করে থাকেন। একে বলা হয় মোশন সিকনেস। বাস বা ট্রেনের ঝাঁকুনি, লঞ্চের দুলুনি এবং বিমানের শূন্যতার কারণেই মূলত এই সমস্যায় পড়েন অনেকে। পেটে অসস্তিকর অনুভূতি, মাথা ঘোরানো, কানে ভোঁ ভোঁ করতে থাকা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। আজকে জেনে নিন এই মোশন সিকনেস থেকে বাঁচতে অর্থাৎ বাস বা ট্রেন ধরণের বাহনে উঠলে বমিভাব দূর করার খুবই সাধারণ কিন্তু কার্যকরী উপায়গুলো।

১) বাহনে উঠার আগে কি খাওয়া উচিত এবং উচিত নয় সেদিকে নজর দিন। অতিরিক্ত সফট ড্রিংকস, ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার একেবারেই খাবেন না। যারা এই সমস্যায় ভোগেন তারা প্রয়োজনে কিছু না খেয়েই বাহনে উঠুন। অনেক দূরের পথ হলে হালকা শুকনো কিছু খেয়ে নিন।

২) অতিরিক্ত ঘ্রাণ বা সুগন্ধযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বাহন চলাকালীন সময়ে কিছু খেতে চাইলে শুকনো চিপস ধরণের খাবার অল্প পরিমাণে খাবেন। পানি পান করবেন।

৩) বাহন যেদিক মুখ করে সামনে এগুচ্ছে তার উলটো দিকে কখনোই বসবেন না। এতে উলটো মোশনের কারণে বমিভাব প্রবল হয়। বাহন যেদিকে এগুচ্ছেন সেদিক মুখ করে বসুন।

৪) বাসে বসার ক্ষেত্রে পেছনের দিকের সিটে বসার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। পেছনের দিকে ঝাঁকুনি বেশী লাগে যা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

৫) যতোটা সম্ভব চলার পথের সমতলে নজর রাখুন। বাইরের দৃশ্য দেখায় মনোযোগ দিন। নিচের দিকে বা উপরের দিকে তাকিয়ে বসে থাকলেও বমিভাব ও অস্বস্তি হয়।

৬) যাদের মোশন সিকনেস রয়েছে তারা বাহনে উঠে চলার সময় কোনো বই পড়া বা মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে কিছু দেখার চেষ্টা করবেন না। এতে আরও অস্বস্তি হতে থাকবে।

৭) বদ্ধ স্থানে আরও বেশী সমস্যা হয়। তাই বাস বা ট্রেনে উঠলে জানালার পাশে বসে তাজা বাতাস গ্রহন করতে পারলে এই বমিভাব আপনা থেকেই কেটে যায়। বিমানের জন্য বা বড় ফিক্সড জানালার এসি বাসের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়।

৮) চলার পথে অন্যান্য যাত্রীদের কাউকে অসুস্থ হয়ে বমি করতে দেখলে অবস্থা আরও বেশী খারাপ হয়ে যায়, তাই যাত্রীদের দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে বাইরের দিকে মনোযোগ দিন অথবা চোখ বন্ধ করে গান শুনতে থাকুন।

৯) ঘুমিয়ে পড়া হচ্ছে সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ। ঘুমিয়ে পড়তে পারেন এই অস্বস্তিকর অনুভূতি থেকে বাঁচতে। ভালো কাজে দেবে।

১০) বমিভাব দূর করার জন্য বাহনে উঠার আগেই এই জাতীয় ঔষধ খেয়ে নিতে পারেন। যদি আপনার খুব অল্প দূরত্বের জন্য এবং ঘন ঘন এই সমস্যা হতে থাকে তাহলে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাবেন।

সুত্রঃ হেলথডাইজেস্ট



মন্তব্য চালু নেই