বাল্য বিয়ে দেয়ায় বর-কনের বাবা ও কাজী সহ ৬জনের জরিমানা

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বামনী গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা (১২) কে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিবাহ দেয়ার অপরাধে বর ও কনের বাবা, কাজী ও সাক্ষী সহ ৬জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থ দন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আক্কেলপুল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক গোলাম মো: শাহনেওয়াজ এ দন্ড প্রদান করেন।

দন্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- আক্কেলপুর উপজেলার বাসিন্দা মৌলভী মো: ওমর আলী, বরের বাবা দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের কফিল উদ্দীন (৫১), কনের বাবা জিয়াউল ইসলাম, স্বাক্ষী আফজাল হোসেন ও মুকুল। জরিমানা দন্ডপ্রাপ্ত বিবাহ রেজিষ্টার(কাজী) হলেন- বিনঝাড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো: আইয়ুব আলী (৪৯)। বর-কনের বাবা ও ২জন স্বাক্ষী কে ৭দিনের এবং মৌলভী ওমর আলীকে ১মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং বিবাহ রেজিষ্টার (কাজী) মো: আইয়ুব আলী কে ২হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বামনী গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের মেয়ে বিনঝাড় দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী জাকিয়া সুলতানাকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার (জাকিয়ার) নানী ও খালা দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানা এলাকার বলরামপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমানের(২২) সাথে বিয়ে দেন।বিয়ের পর বুধবার রাতে বর যাত্রীরা বাস যোগে বিরামপুর ফেরার পথে আক্কেলপুর পৌর সদরের তুলশীগঙ্গা নদীর ব্রিজের পুর্ব পার্শ্বে পৌঁছুলে এ বাল্য বিয়ের খবর জানতে পেয়ে পুলিশ গিয়ে বরযাত্রী সহ ওই বাসটি আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায় । রাতে অন্যান্য যাত্রীদের বাস সহ ছেড়ে দিলেও বর এবং তার বাবা সহ ৪জনকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে বাল্য বিয়ের রেজিষ্ট্রি ও কলেমা পড়ানোর অপরাাধে বিয়ে রেজিষ্টার (কাজী )সুপারিনটেনডেন্ট মো: আইয়ুব আলী ও বিয়ের কলেমা পড়ানোর মাওলানা ওমর আলীকে আটক করে পুলিশ।

পরে বৃহস্পতিবার (আজ) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৫জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও ১জনকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই