বার্ড ফ্লু কী, কিভাবে বাঁচবেন

দুই বছর পর দেশে আবারও বার্ড ফ্লু সংক্রমণের আশংকা দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ের একটি মুরগির খামারে বার্ড ফ্লু ভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে খামারটিতে থাকা সাড়ে দুই হাজারের বেশি মুরগি মেরে ফেলা হয়েছে।

এ ঘটনার পর সারাদেশে মুরগির খামারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ বেশি হয়, যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য এ রোগকে জুনোটিক ডিজিজ বলা হয়। সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস থেকে এ রোগের উৎপত্তি। এ ভাইরাস সাধারণত সর্দি, কাশি সৃষ্টি ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের মহামারী যেমন সোয়াইন ফ্লু বা বার্ড ফ্লু আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ভোক্তাদের জন্য বার্ড ফ্লু সংক্রমণ থেকে বাঁচতে রান্না করা মাংস-ডিমে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বিশিষ্ট পশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনজুর আজিজ বলেন, ‘আমরা যে তাপে মুরগির মাংস রান্না করি, সেই তাপে কোনো জীবাণু বাঁচে না। তা ছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত মুরগি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যায়।’

তিনি বলেন, ‘বাজার থেকে তাজা, সবল জীবন্ত মুরগি কিনলে তা পুরোপুরি নিরাপদ। আক্রান্ত মুরগি বাজার পর্যন্ত আনতে আনতে তাজা থাকে না। তবে বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে অল্প সেদ্ধ মাংস বা ডিম না খাওয়াই ভালো।’

মনজুর আজিজ রান্নার আগে ও মাংস কাটার পর ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলারও পরামর্শ দেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খামারকর্মীদের শেডে কাজ করার সময় মাস্ক পরে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে। থুতু ফেলা যাবে না। কাজ শেষে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ও পা ভালো করে ধুয়ে ফেলা দরকার।

এছাড়া ডিম ফ্রিজে রাখার আগে হালকা গরম পানি বা ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানিতে ধুয়ে রাখতে হবে। বাড়ির হাঁস-মুরগি খাঁচায় ভরে রাখুন বা কোনো নির্দিষ্ট জায়গার বাইরে যেতে দেয়া যাবে না।

হঠাৎ জাবর কাশি, গলার স্বর ভেঙে গেলে, চোখে কোনো সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

অতিথি পাখি শিকার ও খাওয়ার ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। এসব খাবার খাওয়া উচিৎ না। এছাড়া মুরগি কাটার ছুরি, বঁটি ও মাংস রাখার পাত্র গরম পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে রাখতে হবে।

জীবন্ত মুরগি ছাড়া কোনো রোগগ্রস্ত মুরগি, হাঁস, কবুতর কেনা বা খাওয়া যাবে না। খামার শেড থেকে শিশুদের দূরে রাখতে হবে। খামারের অসুস্থ মুরগি খাওয়া যাবে না।



মন্তব্য চালু নেই