বান কি মুনের ভাই ও ভাতিজার বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ

জাতিসংঘের সদ্যবিদায়ী মহাসচিব বান কি মুনের ভাই বান কি স্যাং ও ভাতিজা জু হিয়ান বানের বিরুদ্ধে এক সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিউ ইয়র্কের কর্মকর্তারা এই অভিযোগ তুলে বলছেন, নিজেদের একটি প্রকল্প কেনার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের ওই সরকারি কর্মকর্তাকে প্ররোচিত করতে ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন বান কি মুনের ভাই ও ভাতিজা।

তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। মঙ্গলবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

অভিযোগকারীরা বলছেন, ২০১৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কিয়াংন্যামের দেনা বেড়ে যাচ্ছিল। ভিয়েতনামে তাদের ‘ল্যান্ডমার্ক ৭২’ নামের একটি ভবন বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। ওই প্রতিষ্ঠানের একজন নির্বাহী ছিলেন বান কি মুনের ভাই বান কি স্যাং। তার ছেলে জু হিয়ান বান ম্যানহাটনের একজন রিয়েল এস্টেট এজেন্ট।

৩৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রের বিষয়ে ম্যানহাটন আদালতে উপস্থাপন করা হয় মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি)। তাতে বলা হয়, বান কি স্যাং ও জু হিয়ান ভিয়েতনামের ওই ভবনটি বিক্রির মাধ্যমে বড় অঙ্কের কমিশন আদায়ের চেষ্টা করছিলেন। এই কমিশনের অঙ্ক ৮০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত হতে পারে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, জাতিসংঘের সদ্যবিদায়ী মহাসচিবের দুই আত্মীয় ওই ভবন বিক্রির জন্য মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের এক কর্মকর্তাকে কোটি কোটি ডলার ‍ঘুষ দিয়েছিলেন যেন ওই কর্মকর্তা রাষ্ট্রীয় তহবিলের অর্থ ব্যয় করে ওই ভবনটি কেনেন। তবে মধ্যপ্রাচ্যের ওই দেশটির নাম জানানো হয়নি।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, ওই দুই ব্যক্তি এই চুক্তি নিশ্চিত করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের ওই দেশটির রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে একটি বৈঠকের চেষ্টাও করেছিলেন। জাতিসংঘের সধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে ওই রাষ্ট্রপ্রধান নিউ ইয়র্কে এসেছিলেন।

ম্যানহাটনের অ্যাটর্নি জেনারেল প্রিট ভারারা বলেন, ‘সৎ ও স্বচ্ছ ব্যবসায় বিশ্বাসী এমন ব্যক্তিদের জন্য ওই ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ও প্রতারণা হুমকিস্বরূপ। নিউ ইয়র্ক সিটিতে যারা দুর্নীতি নিয়ে আসে তাদের আমেরিকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তের মুখে পড়তে হয়— এই ঘটনা সেটাকেও মনে করিয়ে দেবে। ’

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ কূটনীতিক বান কি মুন। টানা দুই মেয়াদে জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব পালনের পর গত বছরের শেষ দিনে দায়িত্বভার ছেড়ে দেন দিনি। নতুন বছরের প্রথম দিনেই তার স্থলাভিষিক্ত হন পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যানটোনিও গুতেরেস।



মন্তব্য চালু নেই