বান্ধবীর কাছে অস্বস্তির হবেন যে আচরণে

ভালোবাসার সম্পর্কে থাকে মোহময় আবেশ। দুজনের সমান অংশীদারিত্বে মেলবন্ধন ঘটে পরিনত দুটি হৃদয়ের। কিন্তু একপক্ষের অসামঞ্জস্য আচরণে সম্পর্কে পড়ে কালো ছায়া। আপাতদৃষ্টিতে খুব বেশি খারাপ মনে না হলেও তীব্র বিরক্তি ছড়ায় অপরপক্ষের মনে। সৃষ্টি হয় দুজনের মনের দূরত্ব। যেমন-

ভোলামন স্বভাব

ভোলামন স্বভাবের ছেলেকে মেয়েরা মোটেই পছন্দ করে না। তাদের কাছে বিষয়টি অনেক বেশি বিরক্তির। অথচ ছেলেরা ভাবেন, কবে তাদের প্রেমের সূচনা হয়েছিল, কার জন্মদিন কবে, বান্ধবী কি কাজের কথা বলেছিলো তার সব মনে রাখা খুবই অযথা। কিন্তু এই ছোটোখাটো ব্যাপারটিই মেয়েরা বেশ বড় করেই দেখে।

অযথা অজুহাত

ছেলেরা নিজেদের ভুলে যাওয়া রোগটি ঢাকতে আশ্রয় নেন অযথা অজুহাতের। অন্য মেয়ের সঙ্গে দুষ্টামি বা সঠিক সময়ে সঠিক কাজ না করে মিথ্যে অজুহাত দিয়ে পার পেতে চান ছেলেরা। কিন্তু প্রেমিকা ঠিকই বুঝে ফেলে তার প্রেমিকের মিথ্যা বলাটা। আর তাই এই বিষয়টি মেয়েকে দারুনভাবে রাগিয়ে তোলে।

অকারণে ঝগড়া

প্রেমিকারা অনেক সময়ই প্রেমিকের কাছ থেকে সময় পান না বলে অভিযোগ করেন। এজন্য অনেক সময় সম্পর্কের ব্রেকআপ পর্যন্ত হয়। অনেক সময় অযথা অধিকার ফলাতে গিয়ে ধরা খায় সুবোধ বালক। এদিকে মেয়েটি থাকে রেগে আগুন হয়ে। কখনো আবার কোনো কাজে অযথায় জোরাজুরি করে মেয়েকে অতিষ্ট করে দেয় ছেলেটি। এতে শুধুমাত্র মেয়েটির মনে বিরক্তিরই সৃষ্টি করবে।

আচরণরুচি নিয়ে খোঁটা দেয়া

মেয়েরা সব সময় চান তার প্রেমিক প্রশংসা করুক। কিন্তু যদি প্রেমিক সব সময় তার চাল চলন, রুচি ও সৌন্দর্য নিয়ে কথা শোনাতে থাকেন, তবে প্রেমিকা সে সম্পর্কে না থাকাই শ্রেয় বলে মনে করেন।

অন্য মেয়ের প্রশংসা

মেয়েরা নিজের প্রেমিক বা স্বামীর মুখে অন্য মেয়ের প্রশংসা শোনেন, তা সত্যিই বিরক্তিকর। সামনে কিছু না বললেও মনের মধ্যে সন্দেহের জাল বুনতে থাকবে। একদিন তার বহি:প্রকাশ ঘটবে চরমভাবে।

অকারণে সন্দেহ

সন্দেহপ্রবণ প্রেমিককে মেয়েরা একেবারেই পছন্দ করেন না। আর সন্দেহের কারণ যদি সত্যিকার অর্থেই ভিত্তিহীন হয় তাহলে রাগ বাড়ে দ্বিগুন। তখন মেয়েটি সম্পর্ক ভাঙতে পুরোপুরি প্রস্তুত থাকে।



মন্তব্য চালু নেই