বান্দরবানের লামায় মিরিঞ্জা পর্যটন এলাকায় আগুন, ক্ষয়ক্ষতি কোটি টাকা

বান্দরবানের লামায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে মিরিঞ্জা পাহাড়ে লাগানো আগুন ছড়িয়ে পড়লে প্রায় ৬কি.মি এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনদিনের চলমান দীর্ঘ আগুনে একে একে শুক্রবার বিকাল ৩টায় মিরিঞ্জা পর্যটন পাহাড়ে বসবাসরত দরিদ্র মানুষের ৭টি ঘর ও কয়েকটি বাগান পুড়ে যায়। সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিক তথ্য মতে কোটি টাকা বলে স্থানীয়রা জানান। লামা ফায়ার সার্ভিসের ১৫/২০ জনের একটি টিম সাধ্যমত চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়নি। পাহাড়ের চুঁড়ায় পানির উৎস না থাকায় সময়মত আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি বলে জানায় প্রত্যেক্ষদর্শিরা।

সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা যায়, মোঃ বজল পিতা- মৃত সুলতান আহম্মদ, মাহমুদুল করিম পিতা-মৃত মোঃ কাশেম, মনু সওদাগর পিতা-আবুল খায়ের, মোঃ শহিদ পিতা-সুলতান আহম্মদ, রুহুল আমিন পিতা-অজ্ঞাত, আকতার আহাম্মদ পিতা- মৃত আব্বাস উদ্দিন আহাম্মদ মিরিঞ্জা পাড়া, ফাঁসিযাখালী ইউ.পি, লামা, বান্দরবান এর ঘর সমুহ সম্পূন্ন পুড়ে যায়। হাফেজ নোমান পিতা-মোঃ শফি আলম মিরিঞ্জা পাড়া এর ঘর আংশিক পুড়ে যায়। প্রাথমিক ধারনা মতে এই সাত পরিবারের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্থরা দাবি করেন।

লামা ফায়ার সার্ভিসের উপজেলা লিডার শফি আলম বলেন, পানির উৎস না থাকায় সময়মত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা যায়নি। তবে আমাদের আন্তরিকতার ত্রুটি নেই।
ফাঁসিয়াখালী ইউ.পি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, অগ্নিকান্ডের ক্ষতিগ্রস্থদের ব্যাপারে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সরকারী সাহায্য সহযোগীতা আসলে যথাযত ভাবে প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য লামা গজালিয়া এলাকায় জুমের লাগানো আগুনে গত ১০মার্চ বৈক্ষম ত্রিপুরা পাড়ার ২৩টি ঘর, ১২মার্চ প্রংগপাড়ার ৫টি ঘর ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সীতারকুম এলাকার দুর্বৃত্তদের লাগানো আগুনে অংক্যচিং মার্মার ৪হাজার বাবার গাছ পুঁড়ে যায়।যার পরিপেক্ষিতে সে নিঃস্ব হয়ে যায় এ ব্যাপারে যথাযত কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।



মন্তব্য চালু নেই