বাজেটকে ‘ঋণ করে ঘি খাওয়া’ বলছে বিএনপি

২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত দেশের সবচেয়ে বৃহৎ বাজেটকে ‘ঋণ করে ঘি খাওয়া’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিএনপি। বাজেট বাস্তবসম্মত নয়- মন্তব্য করে দলটি পরামর্শ দিয়েছে, বাজেট বাস্তবতার নিরিখে হওয়া প্রয়োজন।

জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বেলা ৩টা ৩৫ মিনিট থেকে তিনি বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন। নবমবারের মতো জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপন করছেন তিনি।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) বাজেটের আকার ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। এবারের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৮৬ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।

বাজেট নিয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব) মাহবুবুর রহমান  বলেন, ‘এই বাজেট দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহৎ বাজেট। কিন্তু তাতে বিদেশি ঋণ, ব্যাংক থেকে ঋণ এবং অন্যান্য খাত থেকে ঋণ নিয়ে ঘাটতি পূরণ করার কথা বলা হচ্ছে। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে- ‘ঋণ করে ঘি খাওয়া’। এইবারের বাজেটে সেই প্রবাদেরই প্রতিফলন ঘটেছে।’

বাজেট বাস্তবসম্মত নয়- দাবি করে তিনি বলেন, ‘ঋণ না করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো উচিত। বাজেট বাস্তবভিত্তিক হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।’

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাজেটে কালো টাকার অবকাশ থাকতে পারে না। অবকাশ থাকার মানে হচ্ছে, আইন করে পবিত্র সংসদে অন্যায়কে বৈধ করে দিলেন। এটি মহা অন্যায়, জনগণের সঙ্গে বাটপারি। নৈতিকতার চরম অপমান, তাও আবার পবিত্র সংসদে।’

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান বলেন, বিনা ভোটে আর অগণতান্ত্রিভাবে ক্ষমতায় এসে বারবার বাজেট উপস্থাপন জাতির জন্য যেমন হতাশা, তেমনি গণতন্ত্রের জন্যও লজ্জাজনক।

তিনি বলেন, ‘বাজেটে বিভিন্নখাত থেকে ঋণ নিয়ে ঘাটতি পূরণ করা হবে। এতে জনগণের কাঁধে করের বোঝা চাপাবে। আমি মনে করি জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই বলেই সরকার এই ধরনের বাজেট দিয়েছে।’

বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামন রিপন বলেন, ‘যে সংসদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ নয়, সেখানে কী পেশ করা হলো আর কী হলো না, তা নিয়ে জনগণের আগ্রহ নেই।’

এ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা আদায় করা হবে। এনবিআর-বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। এ ছাড়া কর-বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা।রাইজিংবিডি



মন্তব্য চালু নেই