বাঙালিকে খুশি করা কষ্টকর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশ ১০০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করতে পারে না, আমরা পেরেছি। কিন্তু বাঙালিকে খুশি করা কষ্টকর। তাদের যতই দেই তারা আরো চায়, আরো চায়।’

রোববার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। আমরা কিভাবে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করি? কারণ, আমরা একটা নীতি-আদর্শ নিয়ে চলি। আমাদের কাছে ক্ষমতা মানে নিজের ভাগ্য বদল নয়। ক্ষমতাই মানে সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। আমাদেরকে এটা জাতির পিতা শেখিয়ে দিয়ে গেছেন।’

খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একজন স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলেন, কিন্তু তার মুখে হাসি ছিল না। হাসি আসবে কোথায় থেকে? তার প্রাণের লোকদের একে একে ফাঁসি হচ্ছে। তার মুখে হাসি থাকে যখন তিনি মানুষ হত্যা করতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে তাদের নিয়ত থাকে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে দারিদ্য দেখিয়ে ভিক্ষা করা। তাদের (বিএনপি) কাছে ক্ষমতায় মানে নিজেদের সম্পদশালী করা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না। বাংলাদেশ আর কারো কাছে হাত পেতে চলবে না। আমরা কারো কাছে মাথা নত করে থাকবে না। কারণ, বঙ্গবন্ধু শিখিয়ে গেছেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা ব্যর্থ হলেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ৭১-এর পরাজিত দোসরা থেমে নেই। তারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’

‘বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন দলকে সুসংগঠিত করার জন্য। যেখানে সাধারণত আমাদের দেশের মানুষ মন্ত্রিত্বের জন্য দল ছাড়েন।’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে বাঙালিকে মুক্তির দিকে নিয়ে গেছেন। ৬৬ সালের ছয় দফা ছিলো বাঙালির মুক্তির সনদ। ছয় দফা দাবি আদায় করতে গিয়েও আমাদের অনেক রক্ত দিতে হয়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই