বাংলাবান্ধা হয়ে ত্রাণ যাবে নেপাল : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ থেকে ট্রাকে করে বাংলাবান্ধা সীমান্ত বন্দর হয়ে নেপালে ত্রাণ সামগ্রী যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ভোকেশনাল শিক্ষা বিষয়ক একটি আর্ন্তজাতিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান। টেকসই উন্নয়নে টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (টিভিইটি) শীর্ষক তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ম্যানিলাভিত্তিক কলম্বো প্লান স্টাফ কলেজ এবং ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) এ আর্ন্তজাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে।

ভূমিকম্পে নেপালে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কিছু ত্রাণ পাঠিয়েছি। তবে আরো পাঠানো দরকার। সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তা ছাড়া আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে যত ত্রাণ আসবে আমি ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি, আমাদের এয়ারপোর্টগুলোকে প্রস্তুত রাখতে। সৈয়দপুর এয়ারপোর্টকেও আমি প্রস্তুত রাখতে বলেছি। লালমনিরহাটে একটা এয়ারস্ট্রিপ আছে সেটাকেও আমি প্রস্তুত রাখতে বলেছি।

স্থলপথে নেপালে ত্রাণ পাঠানোর বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলাপ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে যত ত্রাণ বা যা লাগে তা আমাদের এখান থেকে যাবে। সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট থেকে একেবারে ট্রাকে করে সমস্ত মালামাল বাংলাবান্ধা হয়ে নেপাল যাবে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে। বাংলাবান্ধা পোর্ট হয়ে যত ত্রাণের মালামাল যাবে তাতে তারা কোনো বাধা দেবে না। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, আমাদের এই বন্ধুপ্রতিম দেশের সহযোগিতা আমরা করে যাবো।

বিল্ডিং কোড মেনে ভূমিকম্প সহনশীল স্থাপনা নির্মাণ করুন
বিল্ডিং কোড মেনে ভূমিকম্প সহনশীল স্থাপনা নির্মাণ করার জন্য ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক টেকনিক্যাল ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং-বিষয়ক এক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ম্যানিলাভিত্তিক কলম্বো প্লান স্টাফ কলেজ এবং ইনসটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইনিঞ্জনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) এ আর্ন্তজাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশেও এই যে ভূমিকম্পের কিছুটা ঝাঁকুনি আমরা যে পেয়েছি, তাতে অনেকগুলো ভবনে ফাটল ধরেছে। যেহেতু এটা ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা, এখানে যেন ভূমিকম্প সহনশীল স্থাপনা গড়ে ওঠে। যদিও আমরা একেবারে মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং করে ফেলছি, কিন্তু সবাই এই বিল্ডিং কোড সব সময় মেনে চলেন না। যেগুলো এভাবে তৈরি হবে, সেগুলো যেন বিল্ডিং কোড মেনে চলে এবং ভূমিকম্প সহনশীল বিল্ডিং তৈরি হয়, সে বিষয়ে আপনারা বিশেষভাবে নজর দেবেন।
এ সময় বাংলাদেশ থেকে ট্রাকে করে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দেশ নেপালে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য ইতিমধ্যে বিমানবন্দরগুলোকে প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্পে নেপালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কিছু ত্রাণ পাঠিয়েছি। তবে আরও পাঠানো দরকার। সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাছাড়া আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে যত রিলিপ আসবে আমি ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি, আমাদের বিমানবন্দরগুলোকে প্রস্তুত রাখতে।
স্থলপথে নেপারে ত্রাণ পাঠানোর বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলাপ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে যত রিলিপ বা যা লাগে তা আমাদের এখান থেকে যাবে। সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট থেকে একেবারে ট্রাকে করে সমস্ত মালামাল বাংলাবান্ধা হয়ে নেপাল যাবে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে। বাংলাবান্দা বন্দর হয়ে যত রিলিপের মালামাল যাবে তাতে তারা কোনো বাধা দেবে না।



মন্তব্য চালু নেই