বাংলাদেশ-ভারত পরবর্তী সিরিজ ভারতে

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ১৯৮৮ সালে উইলস এশিয়া কাপে। চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সে ম্যাচে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর বাংলাদেশ দল হারে ৯ উইকেটের ব্যবধানে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮- এ ১০ বছরে ভারতের বিপক্ষে আরো তিনটি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ।

টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ভারতের বিপক্ষে ২০০০ সালে প্রথম টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে সেবারই প্রথম বাংলাদেশে এসেছিল ভারত। কিন্তু একটি টেস্ট বাদে কিছুই খেলেনি দুই দল।

চার বছর পর প্রথমবারের মত পূর্ণাঙ্গ সফরে ঢাকা আসে ভারতীয় দল। ২০০৪ সালে সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে ঢাকা এসেছিল ভারতীয়রা। সেই সফরেই ওয়ানডেতে প্রথমবারের মত ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজ হারলেও ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে শেষ করে টাইগাররা।

২০০৪ সালের পর ২০০৭ সালে আবারও বাংলাদেশ সফর করে ভারতীয়রা। সেবারও দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলে দুই দল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হয়। আর সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে পরিত্যক্ত হয়।

২০০৯ সালে আবারও ঢাকা আসে ভারতীয় দল। সেবার দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে। এছাড়া ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা।

পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের জুনে তিন ওয়ানডে খেলার জন্যে ঢাকায় আসে তখনকার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নেয় তারা। একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে যায়।

এক বছরের ব্যবধানে চলতি বছর তৃতীয়বারের মত পূর্ণাঙ্গ সফর করে ভারতীয় দল। এই সফরে একটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলে দুই দল। টেস্ট সিরিজ ড্র করলেও ওয়ানডে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মত ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদও পায় টাইগাররা।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরবর্তী দ্বিপক্ষীয় সিরিজ ২০১৬ সালের আগস্টে। দুই দল একটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। তবে এবার আর ভারত আসবে না। প্রথমবারের মত ভারত সফর করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর সেটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম ভারত সফর।

ভারতে অনুষ্ঠিতব্য একমাত্র টেস্টের আগে ও পরে ২০১৯ সালের মধ্যে আর কোনো সিরিজ নেই দুই দলের। তবে এ সময়ে দুটি এশিয়া কাপ (২০১৬ ও ২০১৮)-এ মুখোমুখি হবে দুই দল।

এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আয়োজিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (২০১৬), আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (২০১৭) ও ওয়ানডে বিশ্বকাপে (২০১৯) খেলার সম্ভাবনা থাকবে দুই দলের।



মন্তব্য চালু নেই