বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরি: ‘মায়া সান্তোসের গাড়িতে ৩৩ লাখ টাকা তুলতে দেখেছি’

বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ২০ মিলিয়ন পেসো ( ৩৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা) ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের ম্যানেজারের গাড়িতে তোলা হয়েছে বলে একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাকের ম্যানেজার মায়া সান্তোস-দেগুইতোর গাড়িতে নিজের চোখে ওই টাকা তুলতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের সাবেক কাস্টমার সার্ভিস হেড রোমুলডো আগারাডো।

ফিলিপাইনের পত্রিকা ইনকোয়েরার এই খবর দিয়েছে।

রোমুলডো আগারাডো সিনেট কমিটিকে বলেন, ‘আমি নিজের চোখে মায়া সান্তোস-দেগুইতোর গাড়িতে টাকা তুলতে দেখেছি। আমি যে টেবিলে বসে ছিলাম, তার প্রধান দরজার কাচের ভেতর দিয়ে বাইরের সব দেখতে পাচ্ছিলাম।’

তিনি সিনেট কমিটিকে জানান, ‘৫ ফেব্রুয়ারি কাগজের ব্যাগে পেঁচিয়ে বিশ মিলিয়ন পেসো গাড়িতে তোলা হয়। এর আগে ক্যাশ সেন্টারে সহকারী ব্যবস্থাপক অ্যাঞ্জেলা টোরেস এই টাকা তোলার কথা জানালে গাড়িতে করে শাখায় টাকা আনা হয়।’

‘এরপর সেই টাকা গুনে একটি বক্সে করে প্রথমে মায়া সান্তোসের রুমে রাখা হয়। পরে সেটি আবার কাগজের ব্যাগে ঢুকিয়ে সন্ধ্যার দিকে ম্যানেজারের গাড়িতে তুলে দেয়া হয়, ‘ তিনি বলছেন।

যদিও এ সময় দেগুইতো ব্রাঞ্চে ছিলেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়, যার বেশিরভাগই গেছে ফিলিপাইনে।

এই অর্থ চুরি এবং উদ্ধার নিয়ে ফিলিপাইনের সিনেটে শুনানি চলছে। অর্থ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনে আটক সন্দেহভাজনদের সিনেটের শুনানিতে হাজির করা হয়।

সেখানকার যে ব্যাংকের বিরুদ্ধে মুল অভিযোগ এসেছে, সেই ব্যাংকের ম্যানেজার মায়া সান্তোস-দেগুইতোকে জাপানে পালানোর চেষ্টার সময় বিমান থেকে তাকে নামিয়ে এনে আটক করা হয়েছে।

ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জন গোমেজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থ চুরির এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে ১৪টি দেশ ফিলিপাইনের ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। দেশটি তাদের ব্যাংকিং খাত নিয়ে ভাবমূর্তির সংকটে পড়েছে।

ফলে ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার এবং জড়িতদের চিহ্নিত করার বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।

তথ্যসূত্র : বিবিসি



মন্তব্য চালু নেই