বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: ক্যাম্পাসের মেধাবী মুখ শাহরিয়ার হাশেম

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মেধাবী মুখ বা ক্যাম্পাস হিরো বলা যেতে পারে শাহরিয়ার হাশেমকে। তিনি কয়েকদিন আগে মেধার কৃতিত্ব স্বরুপ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণ পদক। তাঁর সাফল্যর কথা জানাচ্ছেন আওয়ার নিউজ প্রতিবেদক শাহীন সরদার।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ছেলে শাহরিয়ার হাশেম। ডাক নাম অর্ণব। তাঁর পিতা মোঃ আবুল হাশেম সুমন। বর্তমানে তিনি মৎস্য অধিদপ্তরে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে কর্মরত। মা গৃহিণী। স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুথি সহকারী অধ্যাপক চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয়। অর্ণব সাফল্যর সাথে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে এসএসসি ও নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।

তিনি ২০০৭-০৮ সেশনে বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে ভর্তি হন। সাফল্যর সাথে তিনি স্নাতক (২০১২ সাল) ৩.৯১২ পেয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। ৩.৯৮৪ পেয়ে একোয়াকালচার বিভাগে শেষ করেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রী। স্নাতকোত্তর অবস্থায় তিনি নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে একোয়াকালচার বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

এই বছরের এপ্রিলেই জাপানের হিরোসিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবুকাগাকুসো স্কলারশীপ নিয়ে বিদেশে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের জন্য যাচ্ছেন। মেধার স্বীকৃতিস্বরুপ বিভিন্ন সময়ে অর্জন করেছেন বিভিন্ন স্কলারশীপ, মেডেল ও সনদপত্র।

মার্স্টাসে গবেষণার জন্য এনএসটি ফেলোশীপ, স্নাতক চতুর্থ বর্ষে থাকা অবস্থায় ইউজিসি মেরিট স্কলারশীপ, সকল অনুষদের মধ্যে কৃতিত্ত্বপূর্ণ সাফল্যর জন্য মো. নুরুল হোসাইন মেরিটোরিয়াস গোল্ড মেডেল সর্বশেষ মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ও বাকৃবির সপ্তম সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয় পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

শুধু পড়াশুনাতেই সেরা নন তিনি। ছাত্রদের শিক্ষা দানের পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে তাঁর সমান পদচারণা। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন পদচিহ্নের সহ-সভাপতি ও আবাসিক শহীদ সামসুল হক হলের হাউস টিউটরের দায়িত্ব পালন করছেন।

শিক্ষার্থীদের মাঝেও রয়েছে তাঁর জনপ্রিয়তা। তাঁর অমায়িক ব্যবহার ও সবাইকে সহজে আপন করে নেওয়ার যোগ্যতাই হয়তো এর মূল কারন।



মন্তব্য চালু নেই