বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৬ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা

‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৬’ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনের অধিকার ও দর কষাকষির অধিকার রেখে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, নতুন আইনে সংগঠন করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। এর নাম হবে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি। অন্য ট্রেড ইউনিয়নের মতোই এর মাধ্যমে যৌথ দরকষাকষির অধিকার ও ধর্মঘট করার অধিকারের পাশাপাশি চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও শ্রমিকদের জন্য একটি স্থায়ী মজুরি বোর্ড গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মাদ শফিউল আলম সংবাদিকদের ব্রিফকালে বলেন, ২০০৬ সালের বিদ্যমান শ্রমিক আইনের আলোকে প্রস্তাবিত আইনটি প্রণীত হয়েছে। এতে সেন্ট্রাল বার্গেনিং এজেন্ট (সিবিএ) ও ট্রেড ইউনিয়ন গঠন সম্বলিত বিধান রয়েছে।

প্রস্তাবিত এই আইনের কর্মরত অবস্থায় কোন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারের সদস্যরা ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে। এছাড়া দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ অক্ষম হলে একজন শ্রমিক ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সৌদি আরবের জেদ্দায় ২১ জানুয়ারি ওআইসি সচিবালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিশেষ বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যোগদান, ১৯ ও ২০ নভেম্বর পরিকল্পনমন্ত্রীর জাপান সফর, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর নেতৃত্বে ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের কাতার সফর এবং ১২ থেকে ২৩ জানুয়ারি ডাক ও টেলিকমিউনিকেশন প্রতিমন্ত্রীর সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া সফর সম্পর্কে মন্ত্রিসভায় অভিহিত করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই