বাংলাদেশে যুদ্ধজাহাজের বাজার ধরতে চায় ভারত

মৌরিশাস কোস্ট গার্ডের কাছে `বারাকুডা’ টহল জাহাজের সফল কমিশনের পর ভারত থেকে যুদ্ধ জাহাজ কেনার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশ। আর এমনটা হলে চীনের উপর বাংলাদেশের নির্ভরতা কমিয়ে ভারতীয় জাহাজ নির্মাণশিল্প সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ক’দিন আগে কলকাতায় বারাকুডা টহল জাহাজের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড জিআরএসই’র কার্যালয় পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়াল অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মকবুল হোসেন। সেসময় জিআরএসই’র চেয়ারম্যান-কাম-ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিয়াল অ্যাডমিরাল (অবঃ) একে ভার্মার সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

ওই আলোচনার পর টাইমস অব ইন্ডিয়াকে ভার্মা বলেন, “চলতি বছরের মার্চে বারাকুডার হস্তান্তর ও কমিশনের পর বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি দল আমাদের কাছে আসছে। মূলত আমাদের জাহাজ নির্মাণের সক্ষমতা নিয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জিআরএসই-তে ভারতীয় নৌবাহিনী কত আধুনিক ও উন্নতমানের জাহাজ নির্মাণ করছে সে ব্যাপারেও অবহিত করা হয়েছে তাকে।”

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যদি জিআরএসই থেকে যুদ্ধ জাহাজ কেনার ব্যাপারে বাংলাদেশ আগ্রহী হয়ে ওঠে তবে তা ভারতের জন্য অনেক বেশি আশাব্যঞ্জক হবে। এর মধ্য দিয়ে সামরিক সরঞ্জামের জন্য চীন ও পাকিস্তানের উপর বাংলাদেশের নির্ভরতা কমে তা ভারতমুখী হয়ে উঠবে।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় উপমহাদেশে সামরিক সরঞ্জামাদির সরবরাহ আরও বাড়ানোর ব্যাপারে চীন যে আগ্রহ জানিয়েছে তা খুবই উদ্বেগজনক। ভারত যদি আগে হাত গুটিয়ে বসে না থাকতো তবে উপমহাদেশে সামরিক সরঞ্জামাদি সরবরাহে চীনকে টেক্কা দিতে পারতো দেশটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ এখনও জিআরএসই’র তৈরি একটি যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করছে। আর তাহল বিএনএস সুরমা। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে জাহাজটি দেয় ভারত। ১৯৬১ সালে আইএনএস অজয় নামে জাহাজটি ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছিল জিআরএসই।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া



মন্তব্য চালু নেই