বাংলাদেশে জঙ্গি হামলায় আইএস সংযোগের প্রমাণ আছে : কেরি

বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা স্থানীয়রা ঘটালেও তাদের সঙ্গে আইএসের যোগাযোগের প্রমাণ আছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। সংক্ষিপ্ত ঢাকা সফরে জন-বক্তৃতায় তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ এখন গোটা দুনিয়ার সমস্যা আর তার সমাধানে বাংলাদেশের পাশেই থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় গণতন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলেও মনে করেন তিনি।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একদিনের সফরসূচির গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলো সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে দেওয়া বক্তৃতা। বক্তৃতায় বাংলাদেশের জঙ্গিদের সাথে আইএসের যোগাযোগের বিষয়টি ছাড়াও ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের অতীত, বর্তমান নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়েও ইতিবাচক আশার কথা বলেন তিনি।

জন কেরি বলেন, বিশ্বের অন্য অংশের মতো দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গেও আইএস এর যোগাযোগ থাকার প্রমাণ আছে। কিছুটা হলেও সেই যোগাযোগ এখানেও আছে। বাংলাদেশে যখন বলা হয় ‘হোম গ্রোন’ তার মানে এই যে, এখানে কোন বিদেশি জঙ্গি এসে হামলা করছে না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। এ ধরণের সন্ত্রাসবাদ দমনে গণতন্ত্রই সব চেয়ে বেশি কার্যকর।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধশালী ও সুন্দর। এটাই সত্যিকার অর্থেই সোনার বাংলা।

একাত্তরে বাংলাদেশ ‘হত্যাকারীদের আক্রমণের শিকার’ হয়েছিলো উল্লেখ করে নিজের পাশে থাকার কথাও বলেন জন কেরি।

জন কেরি বলেন, একাত্তরকে ঘিরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিলো। কিন্তু আমি গর্বিত যে, আমি ওই যুদ্ধের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা জনমতের সঙ্গে ছিলাম।

সন্ত্রাস কিংবা জঙ্গিবাদের কারণে উন্নয়ন অব্যাহত রাখা দুরূহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অর্থ’ নিরাপত্তা চায়।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর হামলা ছিলো বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। তারা বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে বিভক্ত করতে চেয়েছিলো। বিদেশি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কিংবা ব্লগার হত্যাও তারই অংশ। ওরা সংস্কৃতির ওপর, ইতিহাসের ওপর হামলা চালায়। আমরা তাদের পরাজিত করছি এবং করবো। এ যাত্রায় আমরা বাংলাদেশের পাশেই থাকবো।

রানা প্লাজা এবং তাজরিন গার্মেন্টসের উদাহরণ দিয়ে কেরি বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়েও কথা বলেন। কথা বলেন, গণতন্ত্রের বিষয়ে।

জন কেরি বলেন, সন্ত্রাসবাদ দমনের মতো কঠিন সময়ে গণতন্ত্রই সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন। আমরা মনে করি, আপনারা সুসাশনের ওপর জোর দেবেন। কেন না সন্ত্রাসবাদ দমনে তা জরুরি।

বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি বলেন, আমরা শুধু উন্নয়ন অংশীদার নই বরং বন্ধু। তার এ সফর সফল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই