‘বাংলাদেশে আসা ৮০ শতাংশ রোহিঙ্গা নারীই মিয়ানমারে ধর্ষিত’

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা ৮০ শতাংশ নারী মিয়ানমারেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত কফি আনান কমিশনের সদস্যরা।

মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কমিশন সদস্যরা এসব তথ্য জানান। সাক্ষাৎ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘কফি আনান কমিশনের সদস্যরা রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশের অভিযোগের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে তাদের কোনও দ্বিমত নেই। কমিশন সদস্যরা অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কমিশন সদস্যরা আমাকে জানিয়েছেন মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে আসা ৮০ শতাংশ নারীই মিয়ানমারে ধর্ষণের শিকার। আর মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা আনুমানিক ৫ লাখ হতে পারে।’

উল্লেখ্য, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসেন কফি আনান কমিশনের তিন সদস্য। তারা হলেন- মিয়ানমার নাগরিক উইন ম্রা ও আই লুইন এবং লেবাননের নাগরিক ঘাসাম সালামে। এরপর গত ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তারা কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালি নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শণ করে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা শোনেন। আর মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে দুপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অপ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্ট্যাডিজ (বিস) কার্যালয়ে সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

মত বিনিময় শেষে কফি আনান কমিশনের সদস্য ঘাসাম সালামে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের অনেকগুলো কারণে মধ্যে ধর্মীয় কারণ একটি, তবে একমাত্র কারণ নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এসব বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।’



মন্তব্য চালু নেই