বাংলাদেশে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা কতটা?

বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে এটিএম কার্ড নকল এবং গ্রাহকের তথ্য হ্যাকিংয়ের মত বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে, যা এই খাতের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে নিরাপত্তার পরিস্থিতি কেমন?

বাংলাদেশের প্রযুক্তি কর্মকর্তাদের সংগঠন, সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বিবিসি-কে বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তিনির্ভর লেনদেনের পরিমাণ দিন দিন বাড়লেও, একইভাবে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। সে কারণে গ্রাহকেরা সব সময় অনলাইন ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে আশংকায় থাকেন।

এই মূহুর্তে বাংলাদেশে ৫৭টি ব্যাংক ও ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন।

বাংলাদেশে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। কিন্তু নিরাপত্তা ঘাটতির কারণেই বিভিন্ন সময়ে এটিএম কার্ড নকল এবং গ্রাহকের তথ্য হ্যাকিংয়ের মতো বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে।

তবে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ঘটা ঘটনাগুলোতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ তত বেশি নয় বলে জানান তপন কান্তি সরকার।

এখন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনাই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান কাজ বলে তিনি মনে করেন। ব্যাংকগুলোকে এখন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সেবার মান আরও বাড়াতে হবে।

একই সঙ্গে গ্রাহকদের মধ্যেও ইলেকট্রনিক লেনদেনের ব্যপারে সচেতনতার অভাব রয়েছে, সেদিকেও মনোযোগ দিতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

ঢাকায় আজ অনলাইন ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাংকসমূহ এবং বিশেষজ্ঞদের একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট এবং সিটিও ফোরামের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর অনলাইন নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানাচ্ছেন আয়োজকেরা। খবর-বিবিসি বাংলা।



মন্তব্য চালু নেই