বাংলাদেশি উদ্বাস্তুরা ভারতের নাগরিক : মমতা

বাংলাদেশি উদ্বাস্তুদের ভারতের নাগরিক বলে উল্লেখ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এ সম্পর্কে মমতা বলেন, বাংলাদেশি উদ্বাস্তুদের নিয়ে বিজেপির চিন্তা করতে হবে না। ওরা আমাদের রাজ্যে সব সুযোগ সুবিধা পায় আগামীতেও পাবে। শনিবার বিকালে রাজধানী কলকাতার অদূরে উত্তর চব্বিশ পরগনার বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরের হাবড়ায় নির্বাচনী প্রচারে এভাবেই বাংলাদেশি উদ্বাস্তুুদের মন জয় করার চেষ্টা করেন মমতা। তাদের কাছে ভোটও চেয়েছেন তিনি।

কলকাতার পার্শ্ববতী উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা মূলত বাংলাদেশের উদ্বাস্তু প্রভাবিত জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম। রাজনৈতিক দলগুলোর মতে, এই জেলার জয়-পরাজয়ও নিয়ন্ত্রণ হয় বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুদের ভোটে। সে কারণেই ভোটের সময় রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা নানান সুযোগ সুবিধার কথা বলে তাদের মন জয় করার চেষ্টা করে। মমতাও এর ব্যাতিক্রম নন।

মমতা ব্যানার্জি বক্তব্যের শুরুতেই নাগরিকত্ব নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি ও কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল উদ্বাস্তুদের জন্য কি করেছে। ভোট এলেই ওরা বলেছে, ওরে বাংলাদেশিরা বাক্সটাক্স নিয়ে গুটিয়ে চলে যান ওপারে। আবার কখনো বলবে সিটিজেনশিপ দিয়ে দেবো। মমতা বিজেপি-কংগ্রেসের দিকে প্রশ্ন তুলে বলেন, আগে তাদের সিটিজেনশিপ দাওনি কেন তোমরা। সিটিজেনশিপ নিয়ে তাদের বলার প্রয়োজন নেই। আমার উদ্বাস্তুরা আমাদের দেশের নাগরিক। তারা সব সম্মান পান, তারা সব সম্মানই পাবেন। কারণ তারা আমার দেশেরই নাগরিক।

আমি নিজেও উদ্বাস্তু আন্দোলন করে এসেছি। উদ্বাস্তুটা আমাকে নতুন করে শেখাবেন না বিজেপির লোকেরা। মমতা বিজেপি নেতৃত্বের দিকে কটাক্ষের সুরে বলেন, তারা সতিই কিছু বোঝেন না। আমি ১৯৭১ সালে ইন্দিরা-মুজিবের যে চুক্তি হয়েছিল, নেহেরু-লিয়াকত যে প্যাক্ট হয়েছিল। এর পর যে নিঃশর্ত জমির দলিল যদি কেউ করে থাকে সেটা বাংলায় আমিই করেছিলাম।

মমতা নির্বাচন কমিশনে তার বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অভিযোগ নিয়েও একহাত নিয়েছেন। মমতা বলেন, ওরা (বিরোধীরা) সবাই মিলে নালিশের সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। আমি ওদের ভোটের পর বালিশ দেবো। যাতে ওরা আরামে ঘুমাতে পারে। কারণ এর আগেতো বাংলার মানুষ ওদের মালিশ দেবে। তাই আমি ওদের আরামের জন্য বালিশ উপহার দেবো।

শনিবার উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়ায় খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকসহ স্থানীয় তৃণমুল প্রার্থীদের প্রচারে মমতা আরো বলেন, কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের দুুই নেতারা হাতেহাত দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন যেন তারা প্রেম করছেন।



মন্তব্য চালু নেই