বাংলাদেশকেই না বলা সহজ: চ্যাপেল

নিরাপত্তার অজুহাতে বাংলাদেশ সফরে আসেনি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত কি ভারতের বিরুদ্ধে নিতে পারত অস্ট্রেলিয়া? বেশ দারুণ এক প্রশ্নই ছুঁড়ে দিয়েছেন এক সাবেক ক্রিকেটার। তিনি অন্যকোন দেশের নয়, খোদ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল।

তার এমন তির্যক প্রশ্নে নড়েচড়ে বসেছে অনেকেই। বাংলাদেশী সমর্থকরা চ্যাপেলের এমন মন্তব্যকে মনেপ্রাণেই সমর্থন যোগাচ্ছেন। সম্প্রতি ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেয়া সাক্ষাতকারে বাংলাদেশ সফর অস্ট্রেলিয়ার না আসা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন চ্যাপেল। সেখানেই তার মনে একান্তই জিজ্ঞাসা, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ সফরে না যাওয়াটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য যতটা সহজ সিদ্ধান্ত, ভারতের ব্যাপারে একই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কি তেমনই সহজ?

শুধু তাই নয় আগামী আইপিএলে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের খেলার ব্যাপারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কী সিদ্ধান্ত নেয়, তাও দেখার অপেক্ষায় রয়েছে চ্যাপেল। তবে তিনি এটাও মনে করছেন, বাংলাদেশ সফরে না যাওয়ার ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া সরকারের বড় ভূমিকা রয়েছে। যেখানে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ইচ্ছা করলেও কিছু করতে পারে না। এ ব্যাপারে তিন বলেন, ‘নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারি পরামর্শকে এক পাশে সরিয়ে রাখাটা খুব কঠিন ব্যাপার। বাংলাদেশ সফর নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এমন সমস্যাতেই পড়েছিল।’

তবে অস্ট্রেলিয়াকে ভিভিআইপি নিরাপত্তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। যা রাষ্ট্রপ্রধানের সমতুল্য নিরাপত্তা। এ প্রসঙ্গে ১৯৯৬ বিশ্বকাপের কথাই বলেছেন চ্যাপেল। যেখানে নিরাপত্তার অজুহাতে শ্রীলংকায় যায়নি অস্ট্রেলিয়া। তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সে নিশ্চয়তায় ভরসা রাখেনি। এমনকি ম্যাচের দিন সকালে কলম্বো পৌঁছে সেদিন সন্ধ্যাতেই কলম্বো ত্যাগ করার প্রস্তাবেও রাজি হয়নি অস্ট্রেলিয়া।’

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বিষয়ক পরামর্শও দিয়েছেন চ্যাপেল। তার মতে, ‘আসলে এই ব্যাপারে আইসিসিরই উচিত বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সমন্বয়ে নিরাপত্তা বিষয়ক একটি কমিটি বানিয়ে দেওয়া। কারণ নিরাপত্তার ব্যাপারে বিভিন্ন বোর্ডের ভাবনা-চিন্তা কিংবা দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। আইসিসির উচিত সফরের নিরাপত্তার বিষয়াদি নির্দিষ্ট ক্রিকেট বোর্ডের হাত থেকে সরিয়ে নেওয়া।’



মন্তব্য চালু নেই