বাংলাদেশও একসময় ভারতে খেলবে : মাশরাফি

২০০০ সালে টেস্টে বাংলাদেশের অভিষেক হয়। সেবার বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল প্রতিবেশী দেশ ভারত। সাদা জার্সিতে বাংলাদেশের শুরুটা চমৎকার হলেও সাফল্যের ধারাটা ধরে রাখতে পারেনি টিম বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট খেলেছে প্রায় ১৫ বছর হয়ে গেল। কিন্তু এ সময়ে একবারও ভারতে গিয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে পারেনি বাংলাদেশ! ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই একবারও বাংলাদেশকে ভারতে খেলার আমন্ত্রণ জানায়নি!

তবে ডালমিয়া আবারও বিসিসিআইয়ের সর্বোচ্চ আসনে বসায় ভারত সফরের স্বপ্ন দেখছে বিসিবি। এরই মধ্যে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে ভারত সফর করবে বাংলাদেশ এবং ইডেন গার্ডেনে টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে একটি টেস্ট ম্যাচও খেলবে তারা।

অন্য সবার মত টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজাও ভারত সফরের জন্যে মুখিয়ে আছেন। মাশরাফির ভাষায়, ‘অবশ্যই ভারতে খেলতে চাই।’

ভারতের গণমাধ্যম প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (পিটিআই) কে মাশরাফি আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে ছেলেরা সবাই ভারতে খেলতে ইচ্ছুক। আমরা সেদিকে তাকিয়ে আছি। আশা করছি একসময় আমরা সেখানে যাবো এবং খেলবো।’

ভারতের মাটিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। ১৯৯০-৯১ তে এশিয়া কাপ ও ১৯৯৮ সালে কোকাকোলা ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতে ম্যাচগুলো খেলেছিল বাংলাদেশ।

ভারতীয় ক্রিকেট দল ৭ জুন ঢাকায় আসছে। বিশ্বকাপের পর এটিই হবে দুই দলের প্রথম লড়াই। তবে লড়াইটা শুরু হচ্ছে টেস্ট দিয়ে। ১০ জুন ফতুল্লায় দুই দলের একমাত্র টেস্ট। তবে লড়াই যেটাই হোক। বিশ্বকাপে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বারবার উঠে আসছে। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে রুবেল হোসেনের করা বল ‘নো’ ডেকে রোহিত শর্মাকে জীবন দেন আম্পায়ার ইয়ান গৌল্ড। বিষয়টি নিয়ে ক্রিকেট পাড়া বেশ সরগরম ছিল। মাশরাফির কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আর কথা বলতে চাই না। সামনে তাকাতে চাই। ওটা এখন অতীত।’

এদিকে ভারতের ব্যাটিং শক্তিকেই বড় করে দেখছেন মাশরাফি। এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাশ বলেন, ‘ভারতের ব্যাটিং অর্ডার বেশ শক্তিশালী। এ দল থেকে কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না। দলে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শেখর ধাওয়ান ও আজিঙ্কা রাহানের মত ব্যাটসম্যান আছে। যারা এখন দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। মহেন্দ্র সিং ধোনী শেষ ছয়-আট বছর বেশ ভালো করছেন। এদের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নেওয়াটা কঠিন।’

ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ভারতের বোলিং আক্রমণেরও, ‘বোলাররাও বেশ ভালো করছে। বিশেষ করে পেসাররা। বিশ্বকাপ ও এর পরবর্তী সময়ে পেসাররা বেশ ভালো করেছে।’

এদিকে গত বছর একই সময়ে বাংলাদেশ সফর করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। বৃষ্টির কারণে ম্যাচগুলো পুরোপুরি হতে পারেনি। বৃষ্টিতে কারো হাত নেই তা বেশ ভালো করেই জানেন মাশরাফি। তবুও আশা করছেন তিনটি ওয়ানডে ম্যাচই যেন পুরোপুরো হয়। তিনি বলেন, ‘আশা করছি দুই দলই ৫০ ওভার খেলবে পারবো।’



মন্তব্য চালু নেই