বসে গেলেন কাসিচও, এখন শুধু ট্রাম্প

একদিনও দেরি করতে হয়নি, সুখবর এল ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য।

প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বসে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ওহাইওর গভর্নর জন কাসিচও। এর কয়েক ঘণ্টা আগে একই ঘোষণা দেন টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ। কাসিচ ও ক্রুজের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার মধ্য দিয়ে এখন রিপাবলিকান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেন শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নভেম্বর অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পাওয়া ট্রাম্পের জন্য একপ্রকার চূড়ান্ত হয়ে গেল। এ নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। ট্রাম্পের সামনে এখন হিলারিকে পরাজিত করার চ্যালেঞ্জ।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা রাজ্যে প্রাইমারিতে ট্রাম্পের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে প্রার্থিতার দৌড় থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ক্রুজ। তবে তার এ ঘোষণার পর রিপাবলিকান শিবিরে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। অনেকে ট্রাম্পের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বেও ট্রাম্পের বিরোধিতা হচ্ছে।

এখন সবকিছু ছাপিয়ে মাঠে আছেন ট্রাম্প। নিউ ইয়র্কের এ ধনকুবেরকে আগামী জুলাই মাসে রিপাবলিকান দলের জাতীয় কনভেশন পর্যন্ত চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বাছাই প্রক্রিয়ায় অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা টিকে থাকলে কনভেশনে প্রতিনিধিরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ট্রাম্পের বিকল্প কাউকে ভাবতে পারতেন। কিন্তু সে সুযোগ এখন খুবই কম। এখন ট্রাম্পকে বাদ দেওয়াটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াল। কারণ দলের ভেতরে বাধ্য হয়ে হোক, আর ইচ্ছা করে হোক, অনেকে ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন।

একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজ দলের ভেতরে খুব সমালোচিত হন ট্রাম্প। বিশ্বজুড়েও তার বিরুদ্ধে নিন্দা শোনা যায়। তবে সব কথার বড় কথা, তিনিই হতে যাচ্ছেন নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী।

তবে নিজেকের প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর জন কাসিচ বলেছেন, জাতীয় কনভেনশনে সুযোগ হলে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়ব। কিন্তু ট্রাম্পের চেয়ে বহু পিছিয়ে থাকা কাউকে প্রার্থী নির্বাচন করার কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না।

তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন।



মন্তব্য চালু নেই