বর যুবলীগ লীগ করায় মেয়ে বিয়ে দিলেন না জামায়াত নেতা!

‘বর যুবলীগ করে এবং বরপক্ষের আত্মীয়-স্বজন অধিকাংশই আওয়ামী লীগের সমর্থক’- এ কারণে মেয়ে বিয়ে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন জামায়াত নেতা। কিন্তু নাছরবান্দা বরপক্ষের লোকজন মেয়ে তুলে নিয়ে বিয়ে করার ঘোষণা দিলে বাধে গণ্ডগোল। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বরসহ আহত হয় ৩০ জন।

গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় সুতিয়াখালীর ঢুপিকোরা গ্রামে। আর আহত বর ও বরযাত্রীদের বাড়ি একই উপজেলার চরপাড়া এলাকায়।

আহত ব্যক্তিদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চুরখাই কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের একজন এখনো ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় কনের বাবাসহ অজ্ঞাত ২০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগটি করেছেন বরের বড় ভাই মেহেদী হাসান মানিক।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বরের ভাতিজা সাব্বির হাসান (১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) জানান, শুক্রবার শহরের চরপাড়া এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে আল ইমরানের (জেলা যুবলীগ সদস্য) সঙ্গে একই উপজেলার সুতিয়াখালীর ঢুপিকোরা গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে সেতুর বিয়ের দিন ছিল। জুমার নামাজের পর বর তার ১০০ জন স্বজন নিয়ে কনের বাড়িতে যান। বরপক্ষ গয়না, কাপড় ও প্রসাধনীসহ এক লাখ টাকার মালামাল হস্তান্তর করেন কনেপক্ষের কাছে।

রাত ৯টার দিকে হঠাৎ প্রায় ৩০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে বরযাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বরসহ তাঁর স্বজনদের ব্যাপক মারধর করা হয়।

সাব্বিরের অভিযোগ, কনেপক্ষের সবাই বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সমর্থক। আর বরপক্ষের লোকজন আওয়ামী লীগের সমর্থক। এ কারণেই তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে।

তবে কনের বাবা জামাল উদ্দিন বলেন জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কারণে নয়, ছেলে মাদকাসক্ত হওয়ায় মেয়ে বিয়ে দিতে অস্বীকার করেছি। কিন্তু তারা জোর করে মেয়ে তুলে নিয়ে যেতে চায়। বিষয়টি নিয়ে আমি আত্মীয়দের সাথে কথা বলার মাঝেই এ ঘটনা (মারামারি) ঘটে যায়। সে ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।’

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, গতকাল গভীর রাতে বরপক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।



মন্তব্য চালু নেই