বর্ষবরণে যৌন হয়রানি মামলার প্রতিবেদন ২২ সেপ্টেম্বর

বর্ষবরণে যৌন হয়রানি মামলাটির পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন রোববারও দাখিল না হওয়ায় আগামী ২২ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশের তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ কারণে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদার প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এই দিন ঠিক করেছেন।

এই নিয়ে সপ্তম দফায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় নিয়েছে পিবিআই।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পুনরায় তদন্তের আদেশ দেন।

২০১৫ সালের পয়লা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানির এই মামলায় আট আসামি শনাক্ত করেছিল পুলিশ। তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আসামিদের নাম-ঠিকানা না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনও গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে শনাক্ত করা আসামিদের মধ্যে মো. কামাল গ্রেপ্তার হলে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলাটি পুনঃতদন্তের আবেদন করা হয়। আটক কামাল কারাগারে রয়েছেন।

২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়। যৌন হয়রানির শিকার কেউ মামলা না করায় পুলিশ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করে। তদন্তকালে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে আটজনকে শনাক্ত করা হয়। শনাক্ত আট আসামির ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইলেকট্রনিক ও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। আসামিদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এক লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসহ আশপাশের ভিড়ের মধ্যে সংঘবদ্ধ একদল নারী লাঞ্ছনাকারী ঘটনাস্থলে কয়েকজন নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।



মন্তব্য চালু নেই