বর্ষবরণে যৌন হয়রানিতে আসামির বিরদ্ধে চার্জশিট

বাংলা বর্ষবরণে যৌন হয়রানির মামলার আসামি কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় পিবিআই এই অভিযোগপত্র দাখিল করে।

ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ইন্সপেক্টর আবদুর রাজ্জাক আলোচিত এই মামলার গ্রেফতার হওয়া একমাত্র আসামি কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদনটি জমা দেন। মামলায় ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

এ বছরের ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর চকবাজারের খাজী দেয়ান রোডের একটি বাড়ি থেকে কামালকে হোসেনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (ডিবি)।

২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হন।

ওই ঘটনায় শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

এছাড়া ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আট লাঞ্ছনাকারীকে শনাক্তের পর গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশ করে পুলিশ। পরে তাদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।

এরপর ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস। তিনি প্রতিবেদনে আসামি খুঁজে না পাওয়ার কথা জানান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্ষবরণে যৌন হয়রানির ঘটনা গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত আট যৌন হয়রানিকারীকে গ্রেফতার করা যায়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মামলার তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ৮-১০ জন দুষ্কৃতকারী কতিপয় নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়। তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়।

ওই প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটির পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার।

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পুনঃতদন্তের জন্য বেশ কয়েক দফা সময় নেয় পিবিআই। অবশেষে এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া কামাল হোসেনকে আসামি করে আজ আদালত অভিযোগপত্র দাখিল করল পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই