বর্ধিত বেতন: রাজপথে ভিকারুননিসার অভিভাবকরাও

অষ্টম বেতন স্কেল ঘোষণার পর দেশের বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ স্টাফদের বেতন বাড়াতে গিয়ে তাদের শিক্ষার্থীদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে অভিভাবকরা বলছেন, স্কুলের সব শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের তো আর বেতন বাড়েনি। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বর্ধিত বেতন দিতে সমস্যা না হলেও অন্যদের জন্য তা ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসঙ্গে দ্বিগুণ বেতন দেয়া অভিভাবকদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার সকালে বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদে ভিকারুননিসা স্কুল ও কলেজের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন অভিভাবকরা। একই দাবিতে গত রবিবার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে সংবাদ সম্মেলন করেন অভিভাবকরা। সংবাদ সম্মেলনে বেতন কমানোর জন্য ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে বেতন কমানো না হলে ১৭ জানুয়ারির থেকে স্কুল প্রাঙ্গণে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পাললের ঘোষণা দেন তারা।

তাদের আন্দোলন কর্মসূচির সঙ্গে আজ ভিকারুননিসা স্কুলের অভিভাবকরাও আন্দোলনে নামেন।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া অভিভাবকদের দাবি, আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই কর্তৃপক্ষ বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিবছর দু’একশ টাকা করে বেতন বাড়ানো হলেও এবার বেতন বাড়ানো হয়েছে দ্বিগুণ। এত টাকা দেয়া সবার পক্ষে সম্ভব নয়।

তারা আরও বলেন, ‘নতুন বেতন স্কেলে সরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়ানোর পর স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বেতন দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। বেতন বাড়ানোর সময় তারা এই চিন্তা করেন নাই যে, নতুন বেতন স্কেলে সবার বেতন বাড়েনি। সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে তাদের ছেলেমেয়েদের বেতন দেওয়া সম্ভব হলেও সবার পক্ষে বর্ধিত বেতন দেওয়া সম্ভব নয়। তাই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন অভিভাবকরা।

পরে অভিভাবকদের একটি প্রতিনিধিদল কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে একটি স্মারকলিপি দেন। এসময় অভিভাবকদের হাতে বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন ও প্লাকার্ড ছিল।



মন্তব্য চালু নেই