বরিশালে অদক্ষ চালকরা চালাচ্ছে ভারি যানবাহন

বরিশাল প্রতিনিধি ॥ বরিশালের অধিকাংশ অভ্যন্তরীণ রুটে অদক্ষ চালকরা চালাচ্ছেন ভারী যানবাহন অর্থাৎ যাত্রীবাহী বাস কিংবা পণ্যবাহী ট্রাক। এসব চালকদের অধিকাংশরই যানবাহন চালানোর লাইসেন্স পর্যন্ত নেই। আবার অনেকে হালকা যানবাহন চালানোর লাইসেন্সপ্রাপ্ত হলেও তারা ভারী যানবাহন চালাচ্ছেন। ফলে প্রায়ই বাস ও ট্রাক দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে।

অতিসম্প্রতি সময়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুখময় সরকার নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ঝটিকা অভিযান চালায়ি এসব অনিয়মের সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন। তিনি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাব্বির নামের দুই চালককে অর্থদন্ড করে তাদের বাস চালানো থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মালিক পক্ষকে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চালক সাব্বির ও জাহাঙ্গীর বিআরটিএ থেকে হালকা মোটরযান (মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার) চালানোর লাইসেন্স পেয়ে দীর্ঘদিন থেকে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে যাত্রীবাহী বাস চালিয়ে আসছেন। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় চালকদের লাইসেন্স যাচাই-বাছাই করা হলে এসব অনিয়ম ধরা পরে।

এ ব্যাপারে জেলা সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, জাহাঙ্গীর ও সাব্বির চালক হিসেবে অনেক সিনিয়র। তারা বিআরটিএর দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, বিআরটিএর নিয়ম অনুযায়ী হালকা মোটরযান চালানোর লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বছর পূর্ণ হলে ভারি যানবহন চালানোর লাইসেন্স দেয়া হয়। চালক জাহাঙ্গীর ও সাব্বির অনেক বছর আগে হালকা মোটরযানের লাইসেন্স করেছেন।

৫ বছর পূর্ণ হবার পর ভারি যানবহন চালানোর লাইসেন্স করতে তারা বিআরটিএ অফিসে গেলেও নানা তালবাহানা করা হয়। বিআরটিএ’র অফিস সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর ও সাব্বিরের আগের করা হালকা যানবাহনের লাইসেন্সটি ছিল জাল। তাই ভারি যানবাহনের লাইসেন্সের জন্য তারা নতুন করে হালকা যানবাহন চালানোর লাইসেন্স করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই