বন কর্মকর্তা ইউসুফ আলী কারাগারে

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাগেরহাটের বন কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী ওরফে এ কে এম ইউসুফ আলমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রোববার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। এর আগে সকালে ইউসুফ আলীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর হায়দার আলী ও সায়েদুল হক সুমন।

গত ৯ ডিসেম্বর রাতে র‌্যাব সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুবলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা ইউসুফকে (৫৮) গ্রেফতার করে।

ইউসুফ আলী মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবদর বাহিনীতে ছিলেন বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

ইউসুফ আলী জামালপুরের চাঁনপুর হরিণাকান্দা গ্রামের আবদুল খালেক ওরফে খালেক মাস্টারের ছেলে। তার বড় ভাই এ বিএম ইউনুস আলীকেও (৬৫) মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় একই রাতে জামালপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলার মোট চারজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত বাকি দুজন হলেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ওমর ফারুক (৭০) এবং রেজাউল করিম ওরফে আক্কাস মৌলভী (৬৬)।

তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, আসামি এ কে এম ইউসুফ আলী মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্র ছিলেন। সেই সময়ে তিনি আলবদর বাহিনীতে যোগ দিয়ে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার সুবর্ণখিলা এলাকায় গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন চালান।

প্রাথমিক তদন্তে ‘অভিযোগের সত্যতা’ পাওয়ায় গত ১ এপ্রিল জামালপুর ও ময়মনসিংহ জেলার আটজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের এই মামলা করা হয়। প্রসিকিউশনের আবেদনে গত ৯ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

ইউসুফ আলী ১৯৭৯ সালের ৯ আগস্ট বন বিভাগে ফরেস্টার পদে যোগ দেন। তিনি ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জে ডেপুটি রেঞ্জার হিসেবে যোগ দেন। কিছুদিন আগে তিনি পদোন্নতি পেয়ে শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তার দায়িত্ব পান।



মন্তব্য চালু নেই